For Recent News Click

‘ক্রিকেটের বাইবেলে’ তামিম ইকবাল http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-08/news/145206



তামিম ইকবাল: ‘এখন পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন।’


প্রথমে লর্ডস, এরপর ওল্ড ট্রাফোর্ড। গত বছর ইংল্যান্ড সফরে সিরিজের দুই টেস্টেই স্ট্রোক-ঝলমলে সেঞ্চুরি। প্রথমটি ৯৪ বলে, দ্বিতীয়টি ১০০ বলে।
লর্ডসে সেঞ্চুরিতেই লেখা হয়েছিল নতুন ইতিহাস—ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। প্রথমটির মতো দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটিও তামিমের। ইংল্যান্ডে ওই দুই সেঞ্চুরিই তামিম ইকবালকে এনে দিয়েছে আরেকটি ‘প্রথম’-এর গৌরব। উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালম্যানাক-এর বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে স্থান পেয়েছেন এই বাঁঁহাতি ওপেনার।
‘ক্রিকেটের বাইবেল’ হিসেবে পরিচিত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালম্যানাক-এর ১৪৮তম সংস্করণ বাজারে আসবে ১৪ এপ্রিল। ঐতিহ্য অনুযায়ী, এর আগের রাতে লর্ডসের লং রুমে নৈশভোজে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হবে বিখ্যাত সেই হলুদ বই। এত দিন ‘উইজডেন ফাইভ ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার’-এর নামও ঘোষিত হয়ে আসছে সেই রাতে। এবার ব্যতিক্রমীভাবে তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আজ লন্ডনে ঘোষিত হবে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের নাম, যাতে আছেন বাংলাদেশের তামিম ইকবালও।
আরেকটি ব্যতিক্রমও হচ্ছে এবার। ১৯২৬ সালের পর এই প্রথম বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটার নির্বাচনের রীতির ব্যত্যয় ঘটছে। উইজডেন সম্পাদক শিল্ড বেরি পাঁচজনকেই নির্বাচন করেছিলেন, কিন্তু তাঁদের একজন স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায় তাঁকে বাদ দিতে হয়েছে। উইজডেন-এ ওই ক্রিকেটারের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে বেরি বলেছেন, ‘যদি তিনি অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতেন, তা হলে তাঁকে পুনর্বিবেচনা করা যেত। এ কারণেই আমি তাঁর বদলে আর কাউকে বেছে নিইনি। এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে তাঁকেও রাখা যায় না। পুরো ব্যাপারটাই খুব দুঃখজনক।’
উইজডেন নাম না বললেও অনুমান করা কঠিন কিছু নয়। একটু ইঙ্গিত দিলে পাঠকেরও তা বুঝতে সমস্যা হবে না। স্পট ফিক্সিং প্রসঙ্গই বুঝিয়ে দিচ্ছে, ওই ক্রিকেটার পাকিস্তানি। সঙ্গে যোগ করে নিন পরিচয়টাও—তিনি বাঁহাতি ফাস্ট বোলার।
‘ফাইভ ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার’-এর বদলে এবার তাই ‘ফোর ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার’। তামিম ইকবাল ছাড়া বাকি তিনজন—এউইন মরগান, জোনাথন ট্রট ও ক্রিস রিড। মরগানের নির্বাচনে বড় ভূমিকা রেখেছে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে তাঁর অবদান। ট্রট ২০১০ সালে টেস্টে ১৩২৫ রান করেছেন। সাবেক ইংল্যান্ড উইকেটকিপার রিড ২০১০ সালে নটিংহ্যামশায়ারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তামিমকে নির্বাচনের কারণ হিসেবে শিল্ড বেরি বলেছেন, ইংলিশ মৌসুমের শুরুতে আর কোনো সফরকারী ব্যাটসম্যান কন্ডিশনের ওপর এমন কর্তৃত্ব দেখাতে পারেননি। তামিমের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সেরা ফর্মের ম্যাথু হেইডেন বা ক্রিস গেইলের তুলনা করে তাঁকে নির্বাচন করতে পারাটাকে আনন্দের ব্যাপার বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। উইজডেন-এর নৈশভোজে তামিম ইকবালকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। তামিমও যেতে খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের সঙ্গে তারিখটা মিলে যাওয়ায় আর যাওয়া হচ্ছে না তাঁর।
তামিম ইকবালও সুখবরটা পেয়ে আপ্লুত, ‘গত কিছুদিন সময়টা খুব ভালো যায়নি। বিশ্বকাপে নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। খবরটা পেয়ে তাই খুব ভালো লাগছে। আমি খুব, খুব খুশি। এখন পর্যন্ত এটিই আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন।’
ক্রিকেটীয় যেকোনো অর্জনেই তামিমের মনে পড়ে প্রয়াত বাবাকে। এখানেও ব্যতিক্রম নয়, ‘উনি থাকলে এই পুরস্কারের মর্মটা আরও ভালো করে আমাকে বুঝিয়ে দিতে পারতেন। আব্বু ক্রিকেট ইতিহাসের খুব অনুরাগী ছিলেন। উইজডেন, এমসিসি, লর্ডস—এসব শব্দ উনার মুখেই প্রথম শুনেছি।’
দু-একবার ব্যতিক্রম হলেও উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচনে মূলত আগের ইংলিশ মৌসুমে পারফরম্যান্সই বিবেচনায় নেওয়া হয়। নির্বাচনটা উইজডেন সম্পাদকের একক এখতিয়ার। ১৮৬৪ সাল থেকে প্রতিবছর প্রকাশিত হয়ে আসা উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালম্যানাক বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচন করে আসছে ১৮৮৯ সাল থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্রিকেট বন্ধ ছিল বলে ছয় বছরই (১৯৪১-৪৬) শুধু এর ব্যতিক্রম হয়েছিল। শুরুর দিকে সংখ্যাটা কম-বেশি হলেও ১৯২৭ সাল থেকে পাঁচজনই পেয়ে আসছেন এই স্বীকৃতি। এবারই সেই ঐতিহ্য থেকে সরে এল ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো ব্যক্তিগত পুরস্কার।
তামিম ইকবাল ২০১০ সালে উইজডেন ক্রিকেটার সাময়িকীর চোখে বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগের বছর সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ এটিকেই ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ উইজডেন-এর স্বীকৃতি বলে ভুল করেছিল। সেই ভুল ভাঙাতেই যেন ‘আসল’ পুরস্কারটা জিতলেন তামিম ইকবাল!
News Sours http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-08/news/145206

উপভোগের আনন্দই মূল কথা

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট অ্যাডাম গিলক্রিস্ট

তিনটি বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ হিসেবে আমি বলতে পারি, প্রতিটি টুর্নামেন্টেরই নিজস্ব চিত্রনাট্য ও গল্প আছে। টানা তিনটি শিরোপা জয়ের প্রতিটিই আমার স্মরণীয় অর্জন। তবে প্রতিটি জয়েরই পথ ছিল ভিন্ন, প্রতিটি টুর্নামেন্ট আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে ভিন্নভাবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে গড়পড়তা মানের চেয়েও বাজে পারফর্ম করে আমরা ১৯৯৯ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজও হয়েছিল ড্র। বছরটা আমাদের ভালো যাচ্ছিল না, ভালো হয়নি বিশ্বকাপের শুরুটাও। আমাদের ঘিরে ছিল মাঠের বাইরের বিতর্কও। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শেষ টেস্টে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বাদ পড়েছিল শেন ওয়ার্ন। এ নিয়ে গণমাধ্যমের তুমুল বিতর্কের মধ্যেই আমরা ইংল্যান্ডে পা রাখলাম। এই সব কিছু সম্ভবত দলকে দিগ্ভ্রান্ত করে ফেলেছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবিষ্কার করলাম, আমরা বাদ পড়ে যাওয়ার দোরগোড়ায়।
কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইলাম। সবার মনোযোগের কেন্দ্রে থাকা শেন হঠাত্ করেই প্রমাণ করতে শুরু করল ও কত বড় চ্যাম্পিয়ন। ওর পারফরম্যান্স এতটাই প্রেরণাদায়ী ছিল যে পুরো দলের চেহারাই বদলে গেল।
সেবার শিরোপা জয়ের আরেক রূপকার ছিল স্টিভ ওয়াহ। সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে ওর সেঞ্চুরিটাই আমাদের টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই এক হয়ে নাটকীয় ও স্মরণীয় জয় আনলাম।
২০০৩ বিশ্বকাপ খেলতে যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলাম, আমাদের দল তখন অনেকটাই স্থিতিশীল। কিন্তু খেলা শুরুর আগেই আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের মধ্যে পড়লাম। ডোপ পরীক্ষায় পজিটিভ হলো শেন ওয়ার্ন। ম্যাচ শুরুর মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে তাঁর মতো বোলারকে হারানোর ধাক্কা সামলে আমরা ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছিলাম রিকি পন্টিং ও জন বুকাননের অসাধারণ নেতৃত্বে।
আমার ধারণা, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেই আমরা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সবচেয়ে ভালোভাবে করতে পেরেছিলাম। টুর্নামেন্টটা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাসা। পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল আমাদের। তবে প্রতিটি চ্যালেঞ্জের জবাব দিয়ে আমরা শিরোপা জিতেছিলাম অপরাজিতভাবে। আমি বলব, আমাদের প্রজন্মের মূল অংশটা নিজেদের সামর্থ্যের চূড়ায় ছিল এই বিশ্বকাপেই।
২০০৩ বিশ্বকাপে কঠিন ক্রিকেট খেলেছি, ২০০৭-এ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজত্ব করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচের খানিকটা সময় বাদ দিয়ে কোনো ম্যাচে আমরা সংকটের কাছাকাছিও ছিলাম না।
এই জয়ের প্রতিটিই ছিল বিশেষ কিছু। কারণ, স্রেফ একটি ম্যাচ জয় নয়, এসব ছিল বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের কাছাকাছি আসা আর এক বাঁধনে জড়ানোর উপলক্ষ। এদের অনেকেই হয়তো আগে কাছের বন্ধু ছিল না। আমার ও শেন ওয়ার্নের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। এটা সত্য, আমাদের জীবনদর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। কিন্তু আমার জীবনের স্মরণীয় স্মৃতি হলো শেনের বলে কিপিং করা। ওর সাফল্য আমি দারুণ উপভোগ করেছি, যেমন ও করেছে আমারটা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ও সব সময়ই আমাদের মতের ভিন্নতা বুঝতে পেরেছে এবং মিল খোঁজার চেষ্টা করেছে। একই কথা প্রযোজ্য দলের অন্য সব ক্রিকেটারের জন্যও। দলের আর সবার সঙ্গে খেলে যেমন আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, তেমনি আমি ও শেন এখনো ভালো বন্ধু।
সহ-অধিনায়ক হিসেবে অধিনায়ক ও বাকি দলের মাঝে সেতুবন্ধের কাজটা আমি খুব উপভোগ করতাম। আমার ধারণা স্টিভ, রিকি, শেন ও ম্যাকগ্রার মতো বলিষ্ঠ ও স্বতন্ত্র মানুষগুলো কাছাকাছি আসতে পেরেছিল দলটার সততার কারণে। আমরা জানতাম, সবার মাঝে সমান বন্ধুতা থাকা সম্ভব নয়। তবে একই লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বটা আবার সবাই বুঝতাম।
আমি নিশ্চিত, এই নতুন ছেলেদের মাঝেও রিকি এই চেতনা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। বিশ্বকাপ একটা বিশেষ টুর্নামেন্ট, ঐতিহ্যবাহী কোনো সিরিজ বা ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে আলাদা। এর একটা আলাদা শক্তি ও আলাদা সংস্কৃতি আছে। অবিশ্বাস্য জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে হলে অস্ট্রেলিয়াকে এই শক্তিটাকে আঁকড়ে ধরতে হবে এবং উপভোগ করতে হবে। প্রস্তুতির সময়টা তাদের সাহায্য করবে একটা দল হিসেবে গড়ে উঠতে। টুর্নামেন্টটাকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নেওয়া এবং একবার বেশি দূর না ভাবাটা জরুরি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ শুরু করেছিলাম আমরা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার মানসিকতা নিয়ে। বিশ্বকাপে সফল হওয়ার যদি কোনো চাবিকাঠি থাকে, তা হলো এটি উপভোগ করা এবং বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানসিকতা ধরে রাখা।

কিউইদের চমকে দিতে চায় কেনিয়া

আজ ম্যাচ শুরুর আগে জিমি কামান্ডে এই দাবি করতে পারেন, ‘নিউজিল্যান্ড? হাহ্। ওদের হারাতে তো আমাদের মাঠেই নামতে হয় না!’
দাবিটা একেবারেই অমূলক নয়। নিউজিল্যান্ডকে একবার মাঠে না নেমেই হারিয়ে দিয়েছিল কেনিয়া!
নিউজিল্যান্ড-কেনিয়া এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচে ‘মুখোমুখি’ হয়েছে। গত দুই বিশ্বকাপে। ২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়াকে ১৪৮ রানে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ২০০৩ বিশ্বকাপে কেনিয়া নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল একটি বলও খরচ না করে! আসলে নিরাপত্তার অজুহাতে সেবার কেনিয়ায় গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি নিউজিল্যান্ড। ওয়াকওভার পেয়ে গিয়েছিল কেনিয়া।
সে যা-ই হোক, বুক ফুলিয়ে কেনিয়া বলতেই পারে, মুখোমুখি লড়াইয়ে তো সমতাই আছে! সমতা আরেক জায়গায়। দুই অধিনায়কের সাম্প্রতিক মন্তব্যে।
ড্যানিয়েল ভেট্টোরি: ‘আমরা জানি, সম্প্রতি আমাদের ফর্ম খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। কিন্তু এই বিশ্বকাপে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতেই খেলব।’
জিমি কামান্ডে: ‘গত এক বছরে আমাদের দলে ধারাবাহিকতার অভাব আছে। কিন্তু বিশ্বকাপ আমাদের প্রমাণের মঞ্চ।’
নিউজিল্যান্ড, কেনিয়া দুই দলেরই সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো নয়। নিউজিল্যান্ড যেমন গত ২০ ওয়ানডের মাত্র চারটি জিতেছে। গত তিনটি ওয়ানডে সিরিজেই নাস্তানাবুদ হয়েছে। দুবার হয়েছে ধবলধোলাই (বাংলাদেশের কাছে ৪-০, ভারতের কাছে ৫-০)। সর্বশেষ নিজ দেশে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-২-এ সিরিজ পরাজয়।
গত বিশ্বকাপের ঠিক উল্টো অবস্থান থেকে শুরু করছে নিউজিল্যান্ড। সেবার বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করে আত্মবিশ্বাসে জ্বালানি ভরে বিশ্বকাপে এসেছিল কিউইরা। এবার একের পর এক সিরিজে হেরে তাদের আত্মবিশ্বাসের পর্দাটা ফুটো হয়ে গেছে।
ফলে আজ চেন্নাইয়ে কেনিয়া চমকে দিতে চাইবে নিউজিল্যান্ডকে। কামান্ডে এই বলে সতর্ক করছেন, ‘কোনো দলকেই খাটো করে দেখাটা হবে ভুল। বিশেষ করে র্যাঙ্কিংয়ের নিচু সারির দলগুলোকে। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বকাপে অঘটন ঘটানোর সামর্থ্য আমাদের আছে।’
নিউজিল্যান্ড সেই ভুল করছে না। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর মার্টিন গাপটিল দুজনই সাংবাদিকদের বলেছেন, কেনিয়াকে তাঁরা দেখছেন শ্রদ্ধার চোখেই।
দেখা যাক, অঘটন-বিশেষজ্ঞ কেনিয়া কোনো চমক দিতে পারে কিনা!

তবুও অনেক প্রাপ্তি

হাবিবুল বাশার হাবিবুল বাশার
করে ফেললাম! সাকিব টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়ার পর এটাই ছিল আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া। শুধু আমি নই, কাল স্টেডিয়ামের ক্যাপ্টেনস বক্সে আমার পাশে সাবেক অধিনায়কেরা যাঁরা ছিলেন—ফারুক ভাই, লিপু ভাই, নান্নু ভাই—সবাই দেখলাম মাথা নাড়ছেন।
আমি এখনো বলব, টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভালো হয়নি। কাল মিরপুরে পুরো ম্যাচ দেখেছি। মাঠে নামিনি। তবে আমার অভিজ্ঞতা বলছিল, খুব বেশি শিশির পড়েনি। জানি না বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট পরশু রাত নয়টা পর্যন্ত মাঠে ছিল কি না। হয়তো ছিল। তখনই হয়তো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, টস জিতলে ফিল্ডিং।
‘টস জিতলে ব্যাটিং নাও’ এটা তো ক্রিকেটের শাশ্বত এক বাণী। দিবারাত্রির ম্যাচে তো আরও বেশি প্রযোজ্য। দিনের ম্যাচে সকালের উইকেটে আর্দ্রতা থাকে। আর এখানে ম্যাচ শুরু দুপুরে। তেমন আর্দ্রতা থাকে না। দিবারাত্রির ম্যাচে ব্যাটিং করার সুবর্ণ সময় দুপুর থেকে সন্ধ্যা। কাল খেয়াল করে দেখবেন, ভারত ওই সময় কী সাবলীল ব্যাটিং করেছে। টস জিতেও আমরা ব্যাটিং করার সুযোগটা নিলাম না।
সিমিং উইকেটেরও অভাব বোধ করেছি। ভারতের বিপক্ষে আমরা যে দুটো ম্যাচ জিতেছি, দুটোই ছিল সিমিং উইকেট। ওদের বিপক্ষে মরা অথবা স্পিন-সহায়ক উইকেট বানিয়ে লাভ নেই। ওরা স্পিনের বিপক্ষে সেরা দল। ওদের পেস দিয়েই ঘায়েল করতে হয়।
সে ক্ষেত্রে একটা প্রান্তে মাশরাফি থাকলে সুবিধাটা আমরা পেতাম। অন্য প্রান্তে শফিউল বা রুবেল—যে থাকত, নির্ভার থাকতে পারত। ভারতকে প্রথমে ধাক্কা দিতে পারিনি বলেই ওদের ওই ৩৭০ রান।
প্রথম পাওয়ার প্লে আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই ১০ ওভারে প্রতিপক্ষ ৯০ রান তুলে ফেললে ওই গতিটাই তো ২৬০-৭০ রান এনে দেয়। আমাদের প্রথম পাওয়ার প্লেতে রান কম দেওয়ার দিকে আরও মনোযোগ দিতে হবে। পেসাররা রান দিয়ে দিলে পরে স্পিনারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যায়, কাল যেটি হয়েছে।
৩৭০ রান করার পরই ম্যাচটা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এটা হয়তো বুঝতে পেরেছেন, আমার কলমে একটু যেন আক্ষেপের সুর। আক্ষেপ, কারণ ভারত বড় রান করেও নির্ভার থাকতে পারেনি। আমরা ওদের চাপেই ফেলে দিয়েছিলাম। সেটি ইমরুলের দারুণ শুরুর কারণে। তামিম তো আমার দেখা সবচেয়ে পরিণত ব্যাটিং করেছে এদিন। আসলে এত বড় রান তাড়া করে জেতার অভিজ্ঞতা না থাকাও আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।
তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা শুরুতেই খেলে ফেললাম। এ থেকে অনেক আত্মবিশ্বাসও পাওয়া গেছে। রানরেটের হিসাব পরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে পরাজয়ের ব্যবধান যথাসম্ভব কমাতে পারায় ভালোই হয়েছে। বিশ্বকাপে আমাদের সর্বোচ্চ স্কোর করেছি। এই আত্মবিশ্বাস পরের ম্যাচে কাজে দেবে। ব্যাটিং দারুণ হয়েছে, ফিল্ডিংও। ফলে সব মিলে আমাদের জন্য এটি অনেক প্রাপ্তির ম্যাচ। আর বিশ্বকাপও তো মাত্রই শুরু।

বিশ্বকাপে দলীয় সর্বোচ্চ রান

৫০, ১০০, ১৫০...কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এভাবে শেবাগের ব্যাট ওপরে উঠতে দেখেছে তিনবার। এটা সে� ৫০, ১০০, ১৫০...কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এভাবে শেবাগের ব্যাট ওপরে উঠতে দেখেছে তিনবার। এটা সেঞ্চুরির পর
প্রথম আলো
৪১৩/৫ ভারত-বারমুডা পোর্ট অব স্পেন ২০০৭
৩৯৮/৫ শ্রীলঙ্কা-কেনিয়া ক্যান্ডি ১৯৯৬
৩৭৭/৬ অস্ট্রেলিয়া-দ. আফ্রিকা সেন্ট কিটস ২০০৭
৩৭৩/৬ ভারত- শ্রীলঙ্কা টন্টন ১৯৯৯
৩৭০/৪ ভারত-বাংলাদেশ মিরপুর ২০১১


সেরা ৫ ইনিংস
১৮৮* গ্যারি কারস্টেন দ. আফ্রিকা-আ. আমিরাত রাওয়ালপিন্ডি ১৯৯৬
১৮৩ সৌরভ গাঙ্গুলী ভারত-শ্রীলঙ্কা টন্টন ১৯৯৯
১৮১ ভিভ রিচার্ডস ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা করাচি ১৯৮৭
১৭৫* কপিল দেব ভারত-জিম্বাবুয়ে টানব্রিজ ওয়েলস ১৯৮৩
১৭৫ বীরেন্দর শেবাগ ভারত-বাংলাদেশ মিরপুর ২০১১

শেবাগের ব্যাটে রং হারাল উত্সব

টেন্ডুলকার রানআউট, বড় একটি কাঁটা সরে যাওয়ায় সাকিব-রাজ্জাকদের আনন্দ। যা পরে শেবাগ-কোহলির রানযজ্ঞ টেন্ডুলকার রানআউট, বড় একটি কাঁটা সরে যাওয়ায় সাকিব-রাজ্জাকদের আনন্দ। যা পরে শেবাগ-কোহলির রানযজ্ঞে
শামসুল হক
রংচঙে দিনটা সন্ধ্যার আগেই খেই হারাল। উত্সবের ঢেউ জোর হারিয়ে ফেলল যেন। ফ্লাডলাইটের ঝলমলে আলোর নিচে দেখা গেল নিস্তরঙ্গ জনসমুদ্র। সারা দিনের এত আয়োজন, এত আশা মাত্র তিন ঘণ্টাতেই বিলীন! শেবাগ-ঝড়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের বিশ্বকাপটাকে প্রথম দিনেই করে দিল বিবর্ণ, ফ্যাকাসে।
ভারতের মতো ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে টসে জিতেও কেন সাকিব আল হাসান আগে ফিল্ডিং নিলেন, সেটা একটা রহস্য। গ্যালারির দর্শক থেকে শুরু করে প্রশ্নটা ভারতীয় মিডিয়ার মুখেও। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে সাকিব নিশ্চয়ই এর একটা ব্যাখ্যা দেবেন। ব্যাখ্যাটা একটু অনুমানও করা যায়—রাতে শিশির থাকবে, আর শিশির ভেজা বল বাংলাদেশি স্পিনারদের পুরো জাদুটা দেখাতে দেবে না। কাজেই আগে বোলিং!
সিদ্ধান্তটা যে কারণেই হোক, আগে বল করাটা যে বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী হলো সেটা শফিউল ইসলামের প্রথম বলেই কভার দিয়ে বাউন্ডারি মেরে বুঝিয়ে দিলেন বীরেন্দর শেবাগ। এরপর তো এটা তাঁরই ম্যাচ, বাংলাদেশি বোলারদের নির্যাতিত হওয়ার প্রামাণ্যচিত্রও।
দুই পেসার শফিউল আর রুবেল হোসেনের সঙ্গে রাজ্জাক, নাঈম, মাহমুদউল্লাহ এবং অধিনায়কসহ চার স্পিনার—শেবাগ-কোহলিদের সামনে সাকিবের সব অস্ত্রই ভোঁতা ঠেকল। কোনো বোলারের ওপরই একটানা বেশিক্ষণ আস্থা রাখা গেল না। সব বোলার মিলিয়ে ইনিংসে ১ ওভারের স্পেলই হয়েছে ৬টা! শফিউল ২ ওভারের প্রথম স্পেলে দিলেন ২০ রান। প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিতে ভালো বল করলেও শেবাগের কাছে বেশি মার খেলেন তিনিই। শফিউলের করা ৭ ওভার থেকে মাত্র ১৭টি বল খেলেই ৩৩ রান করেছেন শেবাগ। শুরুতে কিছু শর্ট বল করলেও সে তুলনায় ২৯ বলে ২২ রান দিয়ে রুবেলই কিছুটা কর্তৃত্ব দেখাতে পেরেছেন শেবাগের ওপর। প্রথম স্পেলটাও খারাপ না, ৫-০-২৮-০।
দুই পেসার মিলে ৪ ওভারেই দিলেন ৩৬ রান। সাকিব ভাবলেন স্পিন দিয়ে যদি কিছু করা যায়! সেই পরিকল্পনাও ব্যর্থ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়ে ৪ ওভারের প্রথম স্পেলে ২০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য রাজ্জাক। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারের অবশ্য সুখকর অভিজ্ঞতা নেইও। কাল উইকেটই পাননি, এর আগে ৮ ম্যাচ খেলেও পেয়েছেন মাত্র ৬ উইকেট। তাও সর্বশেষ উইকেটটি ২০০৮-এর জুনে, ঢাকায়। কালকেরটিসহ ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ চার ম্যাচেই তাঁর কোনো উইকেট নেই।
বাংলাদেশের স্পিন দিয়ে নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়েকে কাবু করা গেলেও ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সামনে এ যেন ভোঁতা অস্ত্র। বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে ৩০ রান দিয়ে কিছুটা সফল, কিন্তু দুই স্পেলে করা পরের চার ওভারেই দিলেন ৩১ রান! এর মধ্যে শেবাগের উইকেটটা আছে, কিন্তু ইনিংসের মাত্র ১৫ বল বাকি থাকতে ১৭৫ রান করে ফেলা একজন ব্যাটসম্যানকে আউট করলেই কী আর না করলেই কী!
সাকিব-রাজ্জাকই যেখানে ফেল, নাঈম-মাহমুদউল্লাহ আর কী করবেন! প্রথমজন ৪ ওভারের প্রথম স্পেলে দিলেন ২৭ আর পরের ৫ ওভারের স্পেলে ২৯ রান। গৌতম গম্ভীরের উইকেটটা ৭ ওভারে ৪৯ রান দেওয়া মাহমুদউল্লাহর জন্য সান্ত্বনা হতে পারে।
টসে হেরেও ব্যাটিং পেয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা মাথার ওপর খোলা আকাশই পেয়ে গিয়েছিলেন। রানের শৃঙ্গটাকে যতটা সম্ভব ওপরে তুলতে শেবাগ-কোহলিদের সিঁড়ি হলেন বাংলাদেশি বোলাররা। প্রায় ২৬ হাজার দর্শকভর্তি গ্যালারি তার পরও লাল-সবুজকে জাগাতে সমর্থনের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। নেচে উঠেছে একটা ভালো বল বা একটু ভালো ফিল্ডিংয়েও। কিন্তু শেবাগ কি আর ওদিকে তাকান! স্বাগতিক দর্শকদের চাপ তাঁর গায়ে চিমটিটাও কাটতে পারল কিনা সন্দেহ। উইকেটে যতক্ষণ ছিলেন, ভারতীয় স্কোরবোর্ডটাকে মন্থর হতে দেননি কখনোই।
২০০৭ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তির আশায় ভারত ম্যাচটা নিয়ে এবার কল্পনার ফানুস কম ওড়ানো হয়নি। শেবাগ-কোহলির ব্যাট শুধু সেই ফানুসটাকেই ফুটো করে দেয়নি, বাংলাদেশের বিশ্বকাপটাকেও যেন নাড়িয়ে দিল। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ জমবে কি জমবে না, সেটারও যে নিক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ!

Beats Bangladesh by 87 runs in high-scoring play

India is having a high score of 87 works, Bangladesh, who won Saturday's World Cup cricket tournament  welcomed the rejection of the first sought by Dhaka. Tigers game, host, lost his competition with other teams, recorded 283 points, rose to an incredible height, I think that observation.

Recover Bat draw some Indians in the first place, a great favorite in the 2011 Cricket World Cup 4370 total was an excellent result. Two batters and won century. Sehwag batting period other young warriors standing Supueso Kohli ~ € Catapult, its age and the World Cup with W, one-day debut an impressive 140-ball 14 th century and made the highest individual score with 175 runs great. 100 He had 83 balls. Tiger, Toss home crowd so surprised - after winning a defensive decision to opt for, the Bangladesh bowlers, India have grown up to provide excellent performance. Bangladesh scored a total of 283 competitive score. Tamim Iqbal, deputy leader of the home team, 70 team the highest score was 86 practice balls. Shakib Aruhassan captain, before - 50 in 55 balls to make sure the best. Overall team score, India, ICC, is the holder of a break in the second place, and Georgetown University. Points: Sehwag - 175 (140), Sachin - 28 (29), Gambir - 39 (39), Kohli - 100 * (83), Pathan - 8 (10) Extras: 20 Total: 370. Bowling: Safiul - 7-0-69-1, Rubel - 10-0 - 60-0, Razzaq - 9 - 0-74 to 0, Shakib - 10-0 - 61-1, Naeem - 7 - 0 - 54-0 Mahmudullah - 7-0 - 49-1. Points: Tamim - 70 (86), Imrul - 34 (29), Junaid - 37 (52), Shakib - 55 (50), Mushfiqur - 25 (30), Mohammad - Mahmudullah 28 (28) - 6 (6) , Naeem Islam - 2 (8), Razzaq - 1 (5), Shafiul - 0 (1), Rubel - 1 * (6): 24 runs. India bowling: Sreesanth - 5 - 0 - 53-0, Zaheer Khan - 10-0 - 40-2, Patel - 10-0 - 48-4, Harbhajan - 10-0 - 41-1, Pathan - 8-0 - 49-1. 42-0 - 7-0 - Prince

ওদের থাক চাপ আমাদের উপভোগ

হাবিবুল বাশার হাবিবুল বাশার
এই ম্যাচ নিয়ে আমার প্রত্যাশা কী? মনেপ্রাণে চাইছি জয় দিয়ে শুরু করুক বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের শুরুটা জয় দিয়ে করতে পারলে সেটার রেশ বাকি অংশেও থেকে যায়। বাকি কাজটাও অনেক সহজ হয়।
ভারতের বিপক্ষে জয়—এটি আমার চাওয়া। আমরা হেরে যেতেও পারি—এটি কিন্তু বাস্তবতা। শুধু ক্রিকেটের নিক্তিতে দুই দলকে মেপে দেখুন, ভারত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল, আমরা মাত্র উঠেছি আটে। খেলোয়াড় ধরে ধরে মাপলেও ভারত আমাদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে।
কিন্তু খেলাটা ক্রিকেট। আমি উদাহরণটি প্রায়ই দিই। কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়াকে আমাদের হারানোর উদাহরণ। এমন কথা তো কোথাও লেখা নেই, র্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বর দল দুই নম্বরকে হারাতে পারবে না!
দুটো অনুশীলন ম্যাচ দেখলাম ভারতের। প্রথমত বলব, ২০০৭ বিশ্বকাপের চেয়ে এই দলের সবচেয়ে বড় পার্থক্য মানসিকতায়। ধোনির মতো একজন অধিনায়ক পেয়েছে, তুমুল উত্তেজনার মধ্যেও যে অবিচল! ব্যক্তিগত স্কিলের কথা ধরলেও ভারত এগিয়ে। ব্যাটিং আর ফাস্ট বোলিংয়ে। ওদের দলে হরভজন আর পীযূষ চাওলা আছে, কিন্তু আমাদের স্পিন আক্রমণ ওদের চেয়ে এগিয়ে।
ম্যাচটি নিয়ে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। ভারতীয় পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি চলছে। আমি বলব, এটা বড় ম্যাচ, আবার বড়ও না। গতবারের ফরম্যাটই ওই ম্যাচটাকে আমাদের জন্য বেশি কঠিন বানিয়ে দিয়েছিল। ভারতের কাছে হারলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের জিততেই হতো—এমন পরিস্থিতি ছিল। এবার এই ম্যাচ হারলেও আমাদের সামনে আরও পাঁচটি ম্যাচ থাকবে। তাই সাকিবদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। বরং ভারতকে প্রথম ম্যাচে পেয়ে ভালোই হয়েছে। গ্রুপে এটাই আমাদের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ। প্রথম ম্যাচ দিয়ে ‘আপদ বিদেয় হোক’।
‘জিতব’ মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। কিন্তু ‘জিতবই’ চিন্তাটাকে মাথায় স্থান দেওয়া যাবে না। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে নির্ভার থাকার ওপর। বাংলাদেশ দলকে বলি, তোমরা নির্ভার থাকো। সমর্থকদেরও বলি, প্রত্যাশার চাপে সাকিবদের ভারাক্রান্ত করবেন না, প্লিজ।
গত বিশ্বকাপেও আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল ভারতের বিপক্ষে। ওই ম্যাচের আগে থেকেই দলে একটা ইতিবাচক আবহ ছিল। আমরা বিশ্বকাপের আগে দুর্বল হলেও টানা কয়েকটি ম্যাচ জিতেছিলাম। আমাদের জয়ের অভ্যাস গড়ে উঠছিল।
সবচেয়ে ইতিবাচক পরিবর্তনটা হয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ জেতার পর। ওই টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড দুর্দান্ত দল ছিল। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওরা বেশ কটি ম্যাচ তিন শর বেশি রান তাড়া করেও জিতেছে। সেই নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর আমাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে উঠে যায়। সবাই আমাদের দিকে অন্য চোখে তাকাতে শুরু করেছিল।
ম্যাচের আগে আমি সতীর্থদের একটা কথাই বলেছি—নির্ভার থাকো। উপভোগ করো। খেলার ফল নিয়ে পরে ভাবো। সেরাটা দাও। মনে আছে, ম্যাচের আগে আমরা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে যখন এসব কথা বলছিলাম, মাশরাফি এগিয়ে এসে তাঁর সেই বিখ্যাত মন্তব্যটি করেছিল, ‘ধরে দিবানি।’
অনেকেই জানতে চায়, ওই ম্যাচে আমরা বিশেষ কোনো রণকৌশল নিয়েছিলাম? ভারতীয় কিছু সাংবাদিক এখনো আমাকে সেই প্রশ্ন করছেন। সত্যি বলি, আমাদের মূল রণকৌশল ছিল বিশেষ কোনো রণকৌশল নিয়ে না-নামা। তবে আমরা প্রথমেই শেবাগকে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। সেটি পেরেছি। আজও পারতে হবে। শেবাগ থাকা মানেই আপনার পরিকল্পনা ভণ্ডুল।
গত বিশ্বকাপের সঙ্গে এই ভারতীয় দলটায় খুব বেশি পরিবর্তন নেই। আমাদের দলে অনেক পরিবর্তন। কিন্তু ওই ম্যাচে জয়ের নায়কেরা আছে। তামিম, মুশফিকুর, সাকিব, রাজ্জাক...শুধু মাশরাফি নেই। মাশরাফি আজ থাকলে খুব ভালো হতো। ভারতের বিপক্ষে আমাদের দুটো জয়েরই ম্যান অব দ্য ম্যাচ সে। এ নিয়ে হা-হুতাশ করে লাভ নেই। মাশরাফির ভূমিকাটা নিতে হবে শফিউল-রুবেলকে।
ভারত চাপে আছে। ভারতীয় মিডিয়ার অবশ্য দাবি, বাংলাদেশও চাপে। আমাদের ১৬ কোটি মানুষের চাপ থাকলে ওদের ১০০ কোটি মানুষের চাপ। চাপটা ওরা নিক, আমরা বরং উপভোগই করি।

সেই দুজন এই দুজন

গত বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের অভিজ্ঞতা যে ভালো ছিল না, মুনাফ চাইলে সেটি ভাগাভাগি করে নিতে পারেন ন� গত বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের অভিজ্ঞতা যে ভালো ছিল না, মুনাফ চাইলে সেটি ভাগাভাগি করে নিতে পারেন নেহরা-শ্রীশান্তের সঙ্গে!
প্রথম আলো

২০০৭ বিশ্বকাপের আগে দুজনই ছিলেন তুমুল আলোচনায়। তবে উল্টো কারণে। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ভাবা হচ্ছিল বিশ্বকাপের সম্ভাব্য তারকাদের একজন। বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে ব্যাটিং গড় ছিল ৪৭ ছুঁইছুঁই। ছিল ১৪৮ ও ১৮৩ রানের অসাধারণ দুটি ইনিংস। মুশফিকুর রহিম দেশজুড়ে ঝড় তুলেছিলেন বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েই। ১৮ বছরের তরুণকে যে নেওয়া হয়েছিল অভিজ্ঞ তারকা ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদের বদলে! অথচ বিশ্বকাপ তাঁদের বরণ করল ঠিক উল্টোভাবে।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুজনের দল। নিজের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মানানসই এক পরিস্থিতিতে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন ধোনি, কিন্তু আউট মাত্র ৩ বল খেলেই, রান করতে পারেননি। ছোট কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ রান তাড়ায় আক্রমণ ও রক্ষণের মিশেলে দারুণ এক ফিফটি করে মুশফিকুর ফিরেছিলেন দলের জয়কে সঙ্গী করে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও রানের দেখা পাননি ধোনি, মুত্তিয়া মুরালিধরনের দুসরায় এলবিডব্লু হয়েছিলেন বিব্রতকরভাবে। প্রথম ম্যাচের পর মুশফিকুরের ব্যাট আর হাসেনি সেভাবে, তবে দলের সাফল্যে ঠিকই স্মরণীয় হয়ে আছে তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ। সময়ের পরিক্রমায় দুজনেই আজ উইকেটের সামনে-পেছনে দলের বড় আস্থা। ধোনি তো দলের কান্ডারিই। এই বিশ্বকাপ কী জমিয়ে রেখেছে দুজনের জন্য?

একটু ভাগ্যের ছোঁয়াও লাগবে

সাকিব আল হাসান সাকিব আল হাসান
 
বিশ্বকাপটা তাহলে শুরুই হয়ে যাচ্ছে! এত দিন ক্রিকেট মহাযজ্ঞের আমেজ শুধু আমরা নিজেরাই টের পাচ্ছিলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মনে করিয়ে দিল, বিশ্বকাপটা পুরো ক্রিকেট-বিশ্বকেই মিলিয়ে দেওয়ার উপলক্ষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপের সব অধিনায়কের সঙ্গে অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটালাম। মাঠে নামার আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে মিনিট চল্লিশেক ভালোই আড্ডা জমল। অনেক মজার মজার কথা হয়েছে, কলামে সবকিছু লেখাও যায় না। তবে আড্ডা থেকে একটা জিনিস শিখেছি—বিয়ে করলে মানুষ ‘জওয়ান’ হয়ে যায়!
হাসবেন না, কথাটা পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির। আড্ডায় ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বিয়ের প্রসঙ্গ উঠল। প্রথম দেখা কোথায়, প্রেম কীভাবে হলো, বিয়ে হলো কীভাবে—সবই বলেছে ধোনি। তখনই আফ্রিদি বলল, বিয়ে করলে নাকি মানুষ আরও ‘জওয়ান’ হয়ে যায়! আফ্রিদি ধোনিকে জিজ্ঞেস করছিল, ‘তোমার বয়স কত...৩৪?’ ধোনি মানল না, ওর বয়স নাকি ২৯। আফ্রিদির পাল্টা জবাব, ‘আমার বয়সের মতো বলো না। আসলটা বলো।’ ধোনির ওই এক কথা, তার বয়স একটাই।
সুরেশ রায়নার টিম বাস মিস করার প্রসঙ্গটা উঠল। ৬টা ৪০ মিনিটে বাস ছিল, সময়টা এগিয়ে দেওয়াতেই নাকি সমস্যার সূত্রপাত! এটা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় অনেক কথা হচ্ছে দেখে ধোনি আমাকে জিজ্ঞেস করল, বাংলাদেশের মিডিয়াও কি এমন? আমি বলেছি, ‘হ্যাঁ। বাংলাদেশ তো ইন্ডিয়াকে সবকিছুতেই ফলো করে, এ কারণে একই রকম। হা হা হা।’ আড্ডার এক ফাঁকে দেখলাম রিকি পন্টিং আফ্রিদিকে আমার ব্যাপারে কী একটা জিজ্ঞেস করছে। তবে সেভাবে খেয়াল করতে পারিনি কী বলেছে।
অধিনায়কদের সঙ্গে আড্ডার স্মৃতি অনেক দিন মনে থাকবে। তবে যেটা কোনো দিনই ভুলব না, সেটা হলো রিকশায় চড়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের যাওয়া। এটা আসলেই অন্য রকম একটা ব্যাপার। আমার রিকশাটা মাঠে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সবাই যে রকম চিৎ কার করে উঠল, বলে বোঝাতে পারব না কেমন লাগছিল তখন। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম খুব, চোখে পানি আসাটা কোনো রকমে আটকেছি। জীবনে হয়তো এমন অভিজ্ঞতা আর হবে না। হ্যাঁ, এর চেয়ে বেশি কিছু হবে, যদি কোনো দিন বিশ্বকাপ জিতি।
অধিনায়কদের সংবাদ সম্মেলনে ধোনি রসিকতা করে বলেছে, শুধু ভারত কেন, বাংলাদেশও বিশ্বকাপ জেতার কথা ভাবতে পারে। খারাপ বলেনি ও। ভাবনায় তো আর কারও শেকল পরানো নেই! তবে আপাতত ম্যাচ ধরে ধরে এগোনোই লক্ষ্য এবং প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচটা।
এ ম্যাচে জিততে হলে আমাদের ভাগ্যেরও একটু সহায়তা দরকার। হতে পারে আমাদের পক্ষে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত চলে এল, যদিও এবার রেফারেল পদ্ধতি আছে। কিংবা একটা সে রকম ক্যাচ, যেটা ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। প্রথম বলে শেবাগ কিংবা শচীনের উইকেটও হতে পারে। মোট কথা, একটা ধাক্কা লাগাতে হবে ম্যাচে।
বিশ্বকাপে এবারই প্রথম থাকবে রেফারেল পদ্ধতি। আমরা ঠিক করেছি, এক শ ভাগ নিশ্চিত না হয়ে রেফারেল চাইব না। বল করার পর যদি মনে হয় ওটা মিডল স্টাম্পেই লাগত, তাহলে রেফারেল চাইব, আর না হলে চাইব না। দলের সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই পদ্ধতিটা কেমন। এক শ ভাগ নিশ্চিত না হয়ে শুধু শুধু সুযোগ নষ্ট করার দরকার নেই। তা ছাড়া এটা নিয়ে আমাদের আগের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটো রেফারেল চেয়ে দুটোই ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। আমার আউটটা নিয়ে তো রেফারেল চাইলামই না। ভেবেছি ব্যাটের কানায় তো লেগেছে, আউট। ক্যাচ যে মিস হবে ওটা কে জানত!
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে নিয়ে অনেক আলোচনা শুনছি। সত্যি কথা বলতে কি, এটা নিয়ে আমাদের কোনো টেনশন নেই। অন্যান্য কাজ ঠিকভাবে করতে পারলে পাওয়ার প্লেও ইনশাল্লাহ ভালো হয়ে যাবে।
ভালো কথা, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তো ভারত নিয়েই কিছু বললাম না! কিছু বলারও তো নেই। আমরা আমাদের খেলা নিয়েই ভাবছি। ভারত নিয়ে যদি কিছু বলতেই হয়, বলব শচীন টেন্ডুলকারের কথা। বিশ্বকাপের এই ম্যাচটাই হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর শেষ ম্যাচ। আমার তাই একটাই চাওয়া, শেষ ম্যাচে প্রথম বলেই যেন আউট হয়ে যায় টেন্ডুলকার।

বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রাণভোমরা

আবদুর রাজ্জাক আবদুর রাজ্জাক
 
একটা জায়গায় ‘একমাত্র’ হয়ে আছেন আড়াই মাস ধরে। তিনিই একমাত্র বাঁহাতি স্পিনার, ওয়ানডেতে যাঁর হ্যাটট্রিক আছে। খানিকটা ঝুঁকি নিয়ে আরেকটা ক্ষেত্রেও ‘একমাত্র’ বলে ফেলা যায় আবদুর রাজ্জাককে। সম্ভবত তিনিই একমাত্র স্পিনার, যাঁকে নিয়মিত বোলিং করতে হয় ইনিংসের শুরুতে, মাঝে ও শেষে!
চকচকে থাকতেই বল হাতে নিতে হয় নিয়মিত। ১১১ ওয়ানডের ৭০টিতেই বোলিংয়ে এসেছেন তিন নম্বরে। মাঝেমধ্যে হাতে নিতে হয় একদম নতুন বলও। ইনিংসের মাঝামাঝি যখন গড়ে উঠছে কোনো জুটি, আবার ডাকা হয় রাজ্জাককে। রান আটকানো আর উইকেট নেওয়া—শেষের দিকে প্রয়োজন দুটোই। এখানেও ভরসা রাজ্জাক।
সব কটি কাজ সফলভাবে করে আসছেন বলেই অনেক দিন ধরে বাংলাদেশের মূল স্পিনার রাজ্জাক। তবে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার আর মাশরাফি বিন মুর্তজার না থাকা—সব মিলিয়ে এবার তাঁকে বলা যায় বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের প্রাণভোমরা। এই ভোমরা বেঁচে থাকা নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়, কিন্তু দলটার নাম যে ভারত!
ভারত মানেই তাঁর কাছে অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের স্মরণীয়তম স্মৃতি এই ভারতের বিপক্ষে। শচীন টেন্ডুলকারেরটিসহ ৩ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ২০০৭ ভারত-বধে। এই ভারতের বিপক্ষেই আবার তাঁর ওয়ানডে রেকর্ড সবচেয়ে বাজে। বোলিং গড় এই দলের বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি (৬৪.১৬), ৮ ম্যাচে উইকেট মাত্র ৬টি, ৫ ম্যাচেই কোনো উইকেটের মুখ দেখেননি। ‘কিপটে বোলার’ হিসেবে খ্যাতি যাঁর, ভারতের বিপক্ষে তিনিই ওভারপ্রতি রানও দিয়েছেন পাঁচের বেশি। বাংলাদেশকে গত বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি করতে হলে রাজ্জাককেও ফিরে যেতে হবে পোর্ট অব স্পেনে। পারবেন রাজ্জাক?
‘প্রতিটি ম্যাচই নতুন। মাঠে নামার সময় আগের রেকর্ড কি আর সঙ্গে নামে? ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড ভালো হলেও আমি এই ম্যাচে যেমন বোলিং করতাম, এখনো তেমনই করব। আমি আমার সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে চেষ্টা করব। ভালো-খারাপ পরের ব্যাপার’—রাজ্জাক জানালেন অতীত রেকর্ড তাঁকে খুব একটা ভাবায় না। ভাবাচ্ছে না ভারতের ব্যাটিং লাইনআপও। ওপেনিংয়ে শেবাগ-টেন্ডুলকার, তিনে গম্ভীর, মাঝে যুবরাজ-ধোনি-কোহলি, আর সাতে ইউসুফ পাঠান! তবে এই ভীতি-জাগানিয়া ব্যাটিং লাইনআপেও ভড়কে যাচ্ছেন না রাজ্জাক, ‘মানছি ভয়ংকর ব্যাটিং লাইনআপ, সবাই স্পিন খুব ভালো খেলে। কিন্তু ভয়ই যদি পেলাম, তাহলে আর ম্যাচ খেলে কী লাভ! গত বিশ্বকাপেও ওদের ব্যাটিং লাইনআপ দুর্দান্ত ছিল, কিন্তু আমরা ঠিকই জিতেছি। এবারও তো হতে পারে এমন কিছু!
সেই আশাতেই তো আছে গোটা বাংলাদেশ!

‘এবার মাশরাফি ম্যাচসেরা হচ্ছে না!’

মহেন্দ্র সিং ধোনি
শুরু হয়েছিল শব্দবিভ্রাট আর হইচই দিয়ে। কিন্তু গত বিশ্বকাপের ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ, আজকের ম্যাচ, উপমহাদেশে বিশ্বকাপ আর রসিকতা—সব মিলিয়ে প্রাণবন্ত ছিল কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিং ধোনির সংবাদ সম্মেলন— 


 বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হওয়া কতটা জরুরি?মহেন্দ্র সিং ধোনি: আমাদের জন্য টুর্নামেন্টটা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, প্রস্তুতি ম্যাচগুলো দিয়ে। দুটি ম্যাচই জিতেছি। এখন গুরুত্বপূর্ণ মূল টুর্নামেন্টের শুরুটাও ভালো করা। জয় দিয়ে শুরু করতে চাই। বাংলাদেশ ভালো দল, বিশেষ করে ঘরের মাঠে। ভালো ম্যাচ হবে। গত বিশ্বকাপেও ভারত ফেবারিট ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের কাছে হারল। এবার তা পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা কতটুকু?

ধোনি: ওই ম্যাচ নিয়ে ভাবছিই না। পুনরাবৃত্তির তাই প্রশ্নই ওঠে না!
 ভারতের ওপর প্রত্যাশার চাপ কতটুকু?
ধোনি: আমার কাছে তো প্রেশার মাপার মেশিন নেই, থাকলে মেপে দেখতাম!
 চাপই কি ভারতের বড় বাধা?
ধোনি: বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে ভারতের ওপর চাপ সব সময়ই থাকে। তার ওপর এবার আমরা স্বাগতিকদের একটি। প্রত্যাশা আকাশচুম্বী হওয়াই স্বাভাবিক। তবে প্রত্যাশার ব্যাপারটা মাথায় ঢোকাতে চাই না। নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে যেতে চাই।
 প্রস্তুতি ম্যাচ দুটির জয় কি ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিল?
ধোনি: জিতলেও চাপ, হারলেও চাপ...চাপ থাকে না কখন বলুন তো!
 বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ধোনি: বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ দুর্দান্ত। তিনজন বাঁহাতি স্পিনার। আমরা যাদের পার্টটাইমার বলি, তেমন দুজন অফ স্পিনারও আছে। কাজেই দলটা অনেক ভালো। বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশনে, যেখানে স্পিনাররা অনেক সাহায্য পায়। বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল।
 আইপিএল বেশি জনপ্রিয় না বিশ্বকাপ, ওয়ানডে ক্রিকেট কত দিন টিকবে, এসব নিয়ে এখন অনেক আলোচনা। আপনার কী মনে হয়?
ধোনি: আমি কেন ওয়ানডে পছন্দ করি জানেন? এখানে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুটির স্বাদই পাওয়া যায়। বলা যায়, দুটোর আদর্শ সংমিশ্রণ। শুরুতে ঝড়, এরপর ইনিংস গড়া, শেষে আবার ঝড়। কিংবা শুরুতে দু-তিনটি উইকেট হারালে নতুন ব্যাটসম্যানদের টিকে থাকার সংগ্রাম, একটু একটু করে ম্যাচে ফেরা, সবকিছুর স্বাদ ওয়ানডেতেই পাওয়া যায়।
 ২০০৭-এর সঙ্গে এবারের দলটার পার্থক্য কোথায়?
ধোনি: দলটা প্রায় একই আছে। তবে গত বিশ্বকাপের চেয়ে আমরা এখন মানসিকভাবে এগিয়ে। প্রতিভা বা সামর্থ্যের কথা ভাবলে ২০০৭ বিশ্বকাপের দলেও আমি কোনো ঘাটতি দেখি না। কিন্তু এবার আমরা মানসিকভাবে দারুণ চাঙা।
 স্বাগতিক বলেই কি ভারত এবার ফেবারিট নাকি গত দুই বছরের পারফরম্যান্সেরও ভূমিকা আছে?
ধোনি: গত দুই বছরের পারফরম্যান্সের অবশ্যই বড় ভূমিকা আছে। সব ধরনের ক্রিকেটেই আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছি। এটাই মূল কারণ। সঙ্গে ঘরের মাটিতে খেলার সুবিধাটুকু বাড়তি একটা কিছু যোগ করবেই।
 প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি থেকে কী বার্তা পেলেন?
ধোনি: যা বুঝলাম, তা হলো বিশ্বকাপে স্পিনারদের বড় ভূমিকা থাকবে। তার মানে এই নয় যে পেসারদের কোনো কাজই থাকবে না। আমার মনে হয়, এই টুর্নামেন্টে রিভার্স সুইং একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে ও স্লগ ওভারে। পেসারদের তাই স্মার্ট বোলিং করতে হবে।
 মিরপুরে বেশ কটি ম্যাচ খেলেছেন, প্রথমে ব্যাট করলে কত রানকে নিরাপদ মনে করছেন?
ধোনি: দেখুন, ওয়ানডেতে এখন কোনো স্কোরই নিরাপদ নয়। ৪১৪ রান করেও ১ রানে জিতেছি আবার সেদিন ২১৭ রান করে বিশ্বের এক নম্বর দলের বিপক্ষে জিতলাম। কাজেই কিছুই বলা যায় না। কম রান করেও জয় অসম্ভব নয় আবার বড় কোনো স্কোরই নিরাপদ নয়।
 ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুটি জয়েই ম্যান অব দ্য ম্যাচ ছিল মাশরাফি, দুটি ম্যাচেই আপনি খেলেছেন। এবার মাশরাফি নেই। দুশ্চিন্তা একটু কমে গেল?
ধোনি: এটা নিশ্চিত, এবার অন্তত সে আর ম্যান অব দ্য ম্যাচ হচ্ছে না!
 বাংলাদেশ জিতলে সেটা কি অঘটন হবে নাকি স্বাভাবিক?
ধোনি: ওয়েল, জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ...
 শচীন টেন্ডুলকার আর কত দিন খেলবেন বলে মনে হয়?
ধোনি: ২১-২২ বছরও আপনার কাছে যথেষ্ট মনে হচ্ছে না! তাহলে তো তাঁকে আরও খেলতে হবে!
 ভারতের চেয়ে কি বাংলাদেশে বিশ্বকাপ উন্মাদনা বেশি বেশি মনে হচ্ছে?
ধোনি: আমার মনে হয়, এই উন্মাদনা প্রায় সমান সমানই। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় যাইনি বলে বলতে পারছি না, তবে এই দুই দেশে বিশ্বকাপের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। লোকে ক্রিকেট পাগলের মতো ভালোবাসে।
 এবারের বিশ্বকাপ কতটা সফল হবে বলে মনে করছেন?
ধোনি: সফল না হওয়ার তো কোনো কারণ দেখছি না! এই উপমহাদেশে যদি বিশ্বকাপ সফল না হয় তাহলে বিশ্বের আর কোথাও হবে না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা দুর্দান্ত হয়েছে, এবার ফরম্যাটও শক্তিশালী দলগুলোর পক্ষে আছে। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা দলগুলোই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। কাজেই আমার ধারণা, বিশ্বকাপ দারুণ সফল হবে।

এভারেস্টের চেয়ে উঁচু নয় ভারত

কাল অনুশীলনে মুশফিকুর, নাজমুল, জুনায়েদদের হাসিমুখ। আজ ম্যাচেও দল এমন নির্ভার থেকে উপভোগ করুক কাল অনুশীলনে মুশফিকুর, নাজমুল, জুনায়েদদের হাসিমুখ। আজ ম্যাচেও দল এমন নির্ভার থেকে উপভোগ করুক
প্রথম আলো
মুসা ইব্রাহীমকে গ্রাফের মতো কিছু একটা দেখালেন জেমি সিডন্স। সাফল্যপিয়াসী বাংলাদেশ দল যে পথ পাড়ি দিচ্ছে, ধাপে ধাপে উঠে যাওয়া সিঁড়ি দিয়ে গ্রাফে কোচ সেটাই বোঝাতে চাইলেন। এভাবে উঠতে থাকলে একদিন এভারেস্ট জয়ও সম্ভব।
কখনো না-কখনো সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠার স্বপ্নটা বাংলাদেশের ক্রিকেটে আছে। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আজ ভারতকে হারালেই এভারেস্ট জয়ের মতো কিছু হয়ে যাচ্ছে না। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেট অভিধানে এভারেস্ট বলে আর কিছু নেইও। ভারত তো একদমই নয়, সেটা হলে বাংলাদেশ এর মধ্যেই দুবার জয় করেছে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ!
তার পরও বাধা পেরোনোর প্রেরণায় এভারেস্টজয়ীরাই যেহেতু ভালো উদাহরণ, শৃঙ্গজয়ের গল্প শুনতে বাধা কোথায়! কাল সকালে অনুশীলনে যাওয়ার আগে শেরাটন হোটেলে মুসা ইব্রাহীমের কাছে সেই গল্পই শুনল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ-সারথিরা। শুনে দল কতটা অনুপ্রাণিত হলো কে জানে, অনুশীলন শেষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবালকে বলতে শোনা গেল, ‘চ্যাম্পিয়নদের কাছে কোনো কিছুই অজেয় নয়। না এভারেস্ট, না ভারত বা অন্য কিছু। আর উনি এভারেস্ট জিততে পারলে আমরা বড় কিছু করতে পারব না কেন?’
ভারত ম্যাচের আগে এই প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলাদেশ দলের মধ্যেই। আজকের ম্যাচটাকে আর দশটা সাধারণ ম্যাচের মতো ধরে নিয়েই ভারতের টুঁটি চেপে ধরতে হবে। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কাল জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘স্বাগতিক দলের সামনে ভারতের মতো বড় একটা দল—বিশ্বকাপে এর চেয়ে ভালো শুরু আর হয় না।’ এই শুরুটা আরও সুন্দর হবে ২০০৭ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি ঘটলে।
সাকিব সরাসরি জয়ের কথা বলেননি। মুসা ইব্রাহীম যেমন একটা একটা করে বাধা ডিঙিয়ে উঠেছেন সর্বোচ্চ শৃঙ্গে, বাংলাদেশ অধিনায়কের লক্ষ্যটাও তেমন, ‘আমাদের ছয়টা ম্যাচ খেলতে হবে। ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যদি প্রতিটা ম্যাচেই উন্নতি করি, ভালো কিছু অবশ্যই সম্ভব।’ গত বিশ্বকাপে সেটাই করেছিল বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক ২০০৭-এর সঙ্গে ২০১১-এর তুলনার পক্ষপাতী নন, ‘২০০৭-এ আমরা এক দিন চাঙা ছিলাম তো আরেক দিন নেতিয়ে পড়েছিলাম। এখন সবাই প্রতিদিন একইভাবে চিন্তা করে। সবাই সবকিছুতে ধারাবাহিক থাকতে চায়। এক্সাইটমেন্ট খুব একটা কাজ করে না। ওই দিক দিয়ে চিন্তা করলে দুটিকে মেলানো কঠিন।’ এবারের বিশ্বকাপটা অন্য কারণেও ব্যতিক্রম সাকিবদের কাছে, ‘এবার আবেগও কাজ করছে আমাদের মধ্যে। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হচ্ছে। আমাদের ক্যারিয়ারে হয়তো আর কখনো এই সুযোগ হবে না। নতুন কিছু তো করার আছেই।’
বাংলাদেশের মানুষ সেই নতুন কিছু দেখারই অপেক্ষায়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সামনে উৎ সুক জনতার ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে। কাল সন্ধ্যার পর তো সেখানে রীতিমতো জনস্রোত! ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখরিত গোটা এলাকা। টিকিটের জন্য হাহাকার তোলা এই বিশ্বকাপে এদের অনেকের ভাগ্যেই জুটবে না মাঠে বসে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ। এই হতাশাও উৎ সাহে বাধা হচ্ছে না কারও। আসা-যাওয়ার পথে চলন্ত টিম বাসের জানালার কাচের ভেতর দিয়ে ক্রিকেটারদের ঝাপসা মুখগুলো দেখা যাচ্ছে, সেটাও কম কী!
এত আনন্দ আর রোমাঞ্চের বিশ্বকাপে একটা হতাশাও আছে। গত বিশ্বকাপে যাঁর হাত ধরে ভারত-বধের শুরু, ইনজুরি এবারের বিশ্বকাপটা খেলতে দিচ্ছে না সেই মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। স্টেডিয়ামপাড়ার স্লোগান আর সাকিবের কণ্ঠে মিশে থাকছে মাশরাফির জন্য হাহাকারও, ‘কোনো সন্দেহ নেই, মাশরাফি ভাই গ্রেট পারফর্মার। তাকে খুবই মিস করব। তবে দলে এখন যারা আছে তারাও ভালো খেলছে। তাদের নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।’
এগোনো মানে জয়ের পথে এগোনো। ভারত ম্যাচে জয়টাই তো লক্ষ্য সাকিবদের! মনের মধ্যে ভারতকে হারাতে পারার বিশ্বাসটা যখন আছে, আজ রাতে উৎ সবে ভাসুক না বাংলাদেশ! ভারত তো আর এভারেস্টের চেয়ে উঁচু নয়!










KmvõPT ßoJyJKmÓ TrPf k´˜Mf oû

vJoLo ßYRiMrL ” Ik„k ÀPk ßxP\PZ dJTJ¸ xzTÆLkèPuJ~ fJrTJ KâPTaJrPhr ZKm, kPeqr
KmùJkj k´YJPrr KmkrLPf KmuPmJctèPuJ ˝JVf \JjJPò KâPTa KmvõTJkPTÇ rJ˜Jr hM'iJPr ßjA \†Ju,
láakJf hUu TPr kxrJ xJK\P~ mxJ yTJr KTÄmJ KnãáT kzPZ jJ ßYJPUÇ oyJjVrLr xJ\xöJ~
kJÁJPfr @Kn\Jfq, rJPf jJjJ rXP~r @PuJTrKvìÇ xmA ßpPjJ IPYjJ IPhUJÇ mjJjLr dJTJ ßfJrPer
TJPZ ßmKéoPTJr KmvJu èc uJT mqJa KhPò KmvõTJPkr @VojL mJftJ, yprf vJy\JuJu @¶\tJKfT
KmoJjmªr ßgPTA Ijq FT @myÇ rJ\iJjLr k´iJj xzTèPuJ xÄÛJPr mhPu ßh~J dJTJ FUj Ijq FT
CP•\jJ~ ßoPfPZÇ KâPTa ßâP\ KmvõTJkPT IjqnJPm mrPe FPfJaJA oP\PZ mJÄuJPhv!
ßxrJ @P~J\Pj, @KfPgq hOÓJ¶ ˙JkPj @VJoLTJu mñmºá ߈Kc~JPo Ijq FT @my láKaP~ fáuPf
mqJkT @P~J\j KjP~ khtJ UMPu pJPò KmvõTJPkrÇ KâPTa KmvõPT ßoJyJKmÓ TrPf ßYJU iÅJiJPjJ
CPÆJijL IjMÔJPjr \jq IPkãJr kJuJ FUj ßvwÇ KâPTajVrL FmÄ KâPTa ßâP\r ßhv mJÄuJPhv¸
@VJoLTJu mñmºá \JfL~ ߈Kc~JPo 4 WµJ Kfj KoKjPar CPÆJijL IjMÔJPj ßx kKrY~aJA CbPm láPaÇ
41 KhjmqJkL KmvõTJk KâPTPar @jMÔJKjT CPÆJiPjr ßWJweJ @xPm k´iJjo¹L ßvU yJKxjJr TP£, KbT
xºqJ 6aJ 58 KoKjPaÇ xPñ xPñ dJTJr @TJPv xºqJ~ \ôPu CbPm @fvmJK\, metJdq KcxPkäPf láKaP~
ßfJuJ yPm KmvõTJPkr Kfj ßpRg ˝JVKfT mJÄuJPhv, nJrfS vsLuÄTJr GKfyq, xÄÛOKfÇ vÄTPrr TP£
È ßh iJoJPT' Kgo xÄP~r fJPu fJPu KâPTa KmvõPT Ijq FT ßoJPy @òjú TrPm, ßxA ÊÀaJ KT¶á
dJTJ ßgPTAÇ
2006'r 30 FKk´u FKv~Jr YJr ßaˆ ßkäK~Ä ßhPvr ßpRg Kmc k´˜JPm @AKxKx'r xÿKf'r kr ßgPT ÊÀ
KmvõTJk 2011'r ãe VejJ, xoP~r kg kKrâoJ~ ßpRg ˝JVKfT ßgPT kJKT˜JPjr mJh kzJ~ ßmPzPZ
mJÄuJPhPv KmvõTJPkr oqJY @P~J\Pjr xÄUqJ (5 ßgPT 8-F CjúLf)Ç KmvõTJPkr ˝JVKfT optJhJPfA
xLoJm­ gJPTKj mJÄuJPhv xrTJr, 5Ka ßnjMqr xÄÛJr ßvJnJmitPj 304 ßTJKa aJTJ UrPY @iMKjTfJr
ßZÅJ~J ßuPVPZÇ mPxPZ VqJuJKrPf ßY~Jr, KcK\aJu ßÛJr ßmJctS \J~J² KÙj, asJA Knvj xJAa KÙPjr
xPñ ߈Kc~JoèPuJ ßkP~PZ ZJh, KâPTa ßUuJr FmÄ ßUuJ ßhUJr xMPpJV xMKmiJS ßmPzPZÇ mhPu ßVPZ
߈Kc~JoèPuJr ßYyJrJÇ Vf mZPrr ÊÀPf dJTJ~ asKl CPjìJYj IjMÔJPj 1 mZPrr TJC²cJCj, SA
mZPrr 10 jPn’Pr oJKjT Ko~J FKnKjCPf 100 KhPjr TJC²cJCj xm KTZMPfA C“xPmr rXP~ ZJKkP~
ßVPZ mJÄuJPhv Ijq 2 ˝JVKfPTr ßYP~, @VJoL 19 ßlmsÆ~JrL @jMÔJKjTnJPm KmvõTJk pJ©Jr 2 Khj
@PV (17 ßlmsÆ~JrL) KmvõTJPkr 10o @xPrr CPÆJijL IjMÔJPj ‰mKY© FPj @P~J\Pj ßxrJr xJãr
rJUPf FUj k´Kfù mJÄuJPhvÇ 14 ßhPvr IÄvV´yPe ßxrJ hu UMÅP\ ßkPf IPkãJ~ gJTPf yPm @VJoL
2 FKk´u kpt¶Ç fPm 22 ßTJKa aJTJ mqP~ metJdq CPÆJijL IjMÔJj @P~J\Pj @r xJ\xöJ~ Ijq hMA
˝JVKfTPT ßaÑJ ßh~Jr IPkãJ~ FUj KorkMr ßvPr mJÄuJ ߈Kc~JoS Y¢V´Jo \Ér @yPoh ßYRiMrL
߈Kc~JoÇ @P~J\Pj pJrJ FPfJaJ k´˜Mf, fJPhr KâPTaJrPhr Skr k´fqJvJS ßp ßVPZ ßmPZÇ
*********

World Cup ক্রিকেটের বর্ণিল উদ্বোধন

সুরের ঝংকার ও আতশবাজির ঝলকানির মধ্য দিয়ে পর্দা উঠল বিশ্বকাপের দশম আসরের। স্বাগতিক দেশগুলোর শিল্প-সংস্কৃতির অনন্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই প্রতিযোগিতা। সঙ্গে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছেন কানাডার রকশিল্পী ব্রায়ান অ্যাডামস। আর শঙ্কর-এহসান-লয়—সবাইকে নতুন উদ্দীপনায় জাগিয়েছেন বিশ্বকাপের থিম সং (মার ঘুরিয়ে) দিয়ে।
সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় শুরু হয় দশম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। ছায়ানটের শিল্পীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার পরপরই মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংগীতের পর এবারের বিশ্বকাপের স্বাগত সংগীত পরিবেশন করেন ইবরার টিপুর নেতৃত্বে বালাম, অর্ণব, মিলা, এলিটা, কনাসহ আরও অনেকে। এরপর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাহন রিকশায় চড়ে মূল মঞ্চে আসেন বিশ্বকাপের ১৪ অধিনায়ক। এ সময় তাঁরা হাত নেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের অভিবাদন জানান। ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী সনু নিগমের ‘লেটস গো ফর গ্লোরি’ শিরোনামের পরিবেশনা ছিল পরবর্তী আকর্ষণ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আইসিসির সভাপতি শারদ পাওয়ারের স্বাগত বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
স্বাগতিক দেশগুলোর শিল্পীদের পরিবেশনার শুরুতে মঞ্চে আসেন ভারতীয় কলাকুশলীরা। তাঁদের পরিবেশনা ‘ম্যাগনিফিসেন্ট ইন্ডিয়া’য় চমত্কারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি। তাঁদের এই অসাধারণ পরিবেশনার রেশ ফুরাতে না ফুরাতেই মঞ্চে আসেন শ্রীলঙ্কান শিল্পীরা। ‘অ্যামেজিং শ্রীলঙ্কা’ নামের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে তাঁরা দর্শকদের নিয়ে যান স্বপ্নের জগতে। এর পরই আসে বাংলাদেশের পালা। একে একে মঞ্চে আসেন সাবিনা ইয়াসমিন, মমতাজ ও রুনা লায়লা। দেশের সংগীতজগতের প্রধান এই তিন শিল্পী উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করেন সুরের মূর্ছনায়। এরপর দেশবরেণ্য নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নিপার নেতৃত্বে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। নাচের তালে তালে তাঁরা চমত্কারভাবে তুলে ধরেন বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে এরপর মঞ্চে আসেন কানাডার রকশিল্পী ব্রায়ান অ্যাডামস। একে একে গেয়ে শোনান ‘সামার ৬৯’সহ আরও তিনটি গান। সবশেষে বিশ্বকাপের থিম সং ‘দে ঘুমাকে/মার ঘুরিয়ে’ গানটির পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। পুরো সময়ই আতশবাজির ঝলকানি দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখে।

চট্টগ্রামে সাকিব-তামিমরা

বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম গেছে বাংলাদেশ দল। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁরা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
চট্টগ্রামে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটি খেলা রয়েছে। আগামী ১১ মার্চ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দিবা-রাত্রির ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। ১৪ মার্চ হল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিও চট্টগ্রামে।
মূলত, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নব-নির্মিত ফ্লাড লাইটের আলোয় নিজেদের ঝালিয়ে নিতেই বাংলাদেশ দলের চট্টগ্রাম গমন। এখানে কয়েকটি প্র্যাকটিস সেশন শেষে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দল ঢাকা ফিরবে।

World Cup ১৩৫ মিনিটের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

World Cup প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম গেছে বাংলাদেশ দল। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁরা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
চট্টগ্রামে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটি খেলা রয়েছে। আগামী ১১ মার্চ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দিবা-রাত্রির ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। ১৪ মার্চ হল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিও চট্টগ্রামে।
মূলত, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নব-নির্মিত ফ্লাড লাইটের আলোয় নিজেদের ঝালিয়ে নিতেই বাংলাদেশ দলের চট্টগ্রাম গমন। এখানে কয়েকটি প্র্যাকটিস সেশন শেষে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দল ঢাকা ফিরবে।

Dhaka - 2011 ICC Cricket World Cup opening ceremony live picture

































Dhaka - 2011 ICC Cricket World Cup opening ceremony live picture




Live Show YahooBest.com World Cup 2011 opening Ceremony From Now....

Welcome To Beautiful  Bangladesh
Cricket World Cup Live Now BTV World Bangladesh TV....................

Is Telecast Is Very Good Cricket World Cup 2011....






Cricket World Cup Opening Ceremony Live 17 February Dhaka

See Cricket World Cup 2011 (GMT +2) 08:00 Bangabandhu National Stadium in Dhaka in the opening ceremony broadcast on February 17.2010 and the lion will start on Friday. ICC Cricket World Cup opening ceremony of the ICC Cricket World Cup Cricket stars display can be seen growing. ICC World Cup 2011 opening ceremony broadcast live to flash February 17, 2011. Bangladesh, Sri Lanka, Bangladesh India.It together will host World Cup 2011 Cricket World Cup, the International Criminal Court and the World Cup, the tenth game of the three countries in South Asia by conducting the test.
Date available:
ICC World Cup 2011
Cricket Live View
Bangabandhu National Stadium
Dhaka, Bangladesh
17. February 2011
10:00 GMT life (hopefully)
ICC World Cup 2011 Live On-steam-opening

ICC World Cup 2011

World famous Canadian pop singer Bryan Adams, famous events in the 2011 ICC Cricket World Cup appearance. ICC Cricket World Cup 2011, and participated in such beautiful music. 69 Bryan Adams and heat after the opening of the ICC Cricket World Cup is a new day live acoustic concert? Hitmaker can, this event effectively. Shankar Mahadevan and Divya 库马尔嘎拉 doelui opening.The Adams said the International Criminal Court in the 2011 World Cup official song of the only western artist search. Hindi, Bengali and Sinhala: Cricket World Cup, the official name in three languages, sing the song together Shankar - Ehsaan - Loy trio.It D "ghuma child is born.
Cup Cricket World Cup opening ceremony of the opening shows a long list occasion.The celebrities.The questions, along with other football can be a good long list of celebrities past and present, legend, and this is a great program that occurred two days before the race 17 days for 2011 Fenruary.
After the success of the local committee of the World Cup stadium with internal and external environment at the ICC World Cup in 2011, tried to disrobe. Of course, in Bangladesh Bangbandhu National Stadium, a world that is very nice to enjoy a very exciting discovery on the basis of life. Therefore, to visit India and Bangladesh, Mirpur, Cher, Bangladesh, Dhaka National Stadium with the game by the Municipal Council of the International Criminal Court Ceremony.The planned open spaces.
Our events in 2011 Cricket World Cup, when the International Criminal Court to try to set the video update.

2011 ICC Cricket World Cup opening ceremony Cup Bangabandhu National Stadium on Friday at 20:00 local hours (GMT +2) The time in Dhaka on February 17.2010. ICC Cricket World Cup 2011
Cricket World Cup opening ceremony of the performance are the stars of the most popular. ICC World Cup 2011 will broadcast live the opening 17 in the 2011 outbreak in February. Bangladesh, Sri Lanka, Bangladesh will be held jointly India.It World Cup for the first time: 2011 ICC Cricket World Cup and World Cup, the tenth game of the three countries of South Asia will conduct a test.
The remaining allowed: Sell 2011Cricket CeremonyHeld 10:00 GMT ICC World Cup in Dhaka Bangabandhu National 월 17 일 StadiumAt vivo BangladeshOn 2 (hopefully) 2011Live
World famous Canadian pop singer Bryan Adams, famous events in the 2011 ICC Cricket World Cup appearance. Cricket World Cup 2011, beautiful music. 69 Bryan Adams and heat after the opening of the ICC Cricket World Cup is a new day live acoustic concert? Hitmaker can, this event effectively. Shankar Mahadevan and Divya 库马尔嘎拉 doelui opening.The Adams said the International Criminal Court, World Cup 2011 official song, performed by western artists. Hindi, Bengali and Sinhala.Cricket title song for the World Championships will be held in two places: - support - Cricket World Cup, the names of the three official languages of the Loire Shankar sang songs trio.It ð "ghuma Rock" in the U.S. and now football This legendary seventeenth occasion.The Fenruary exhaust, and some days are good, long list of other artists at the opening ceremony celebrities.The in 2011, a long list of celebrities attending the game. For the successful introduction of the Local Committee of the World Cup stage, internal and external environment, trying to hide himself, International Chamber of Commerce will celebrate the opening of the 2011 World Cup. Of course, in Bangladesh Bangbandhu National Stadium, a world that is so beautiful, enjoy the opening ceremony of a very interesting life. Therefore, India and Bangladesh, Mirpur, Cher, Bangladesh, Dhaka National Stadium will play in the Cricket World Cup co operation is conducted between access Ceremony.The closed.

We try to ICC Cricket World Cup in 2011 and to set the update to the video.

ICC 2011 Cricket World Cup opening ceremony on February 17



Size riket International Chamber of Commerce in 2011 to start a countdown to the opening World Cup beautiful "Bangabandhu National Stadium, Dhaka, Bangladesh, 17 will be held until February 2011 only 10 this time. Southeast Asian countries, three World Cup board ball World Cup 10, the host of the host of the ceremony, India, Sri Lanka, Bangladesh and Bangladesh, have a good chance, I found the first for a team eager to .14 fans, each playing cricket ever Veterans wait for the world.
http://t1.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcQJulDonojma-ccaX2RA2ecq0zMVCWUhhOc29AGvCFG_GArPaPhY7LjoPaBcw
International Criminal Court, International Criminal Court in 2011 Cricket World Cup opening ceremony will be assigned to completed in February 17


Bangladesh, Bangladesh Cricket Board in the auspicious days of the World Open Mostofa Kamal, head of emergency. "This is definitely a historic moment, Bangladesh will be on the floor." He said.


2011 World Cup opening ceremony and announced the Central Committee of the birthplace of the Organization. Cricket World Cup 2011, the International Cricket Council has scheduled a person (ICC a) the number of downloads have been published. February 19, 2011 World Cup in 2011 world table tennis bronze at the beginning of the first game of India in Bangladesh. This Bangabandhu National Stadium opened in 2011 World Cup Stadium Mirpur Sher é Bangladesh to keep the plan in the first game.


Sourav Ganguly in the Indian claim that the people involved in the celebration arrived in Dhaka. Sri Lanka Cricket President of the Council to attend this event, Nishanth Ranathunga arrived in Dhaka.


The opening ceremony, the International Criminal Court the link live 2011 World Cup


International Criminal Court's decision and arrangements for the opening ceremony to commemorate the 2011 World Cup Stadium in Dhaka capacity of about 4 million, it is important to Bangladesh. Cricket ICC World Cup Stadium, Dhaka, 2011, the world's millions of fans can enjoy the spectacular opening ceremony. Rapid Action battalion and the security of Bangladesh, Bangladesh government, including military and police regulations, and is responsible for opening control. India and Sri Lanka, Bangladesh, their culture, history and freedom struggle in the wake of the 2011 World Cup performance, showing that the topic of the International Criminal Court.
Pop singer and India, Sri Lanka, Bangladesh and dancers are prepared to Bangladesh soon. And the 2001 World Cup opening ceremony in February 2011 and 17 days of live broadcast. TV channels and 2011 World Cup opening ceremony in a large number contains more than 220 countries and major open events will be broadcast live. ICC Cricket World Cup 2011 live links, see the opening of the
Here is the current International Criminal Court at the opening of the 2011 Cricket World Cup will be View the Internet open, you can download the opening movie. Bangladesh'll see we are very open. Tickets can be purchased from the three countries at the opening costs 20 yuan. Internet access to all the International Criminal Court, ICC Cricket World Cup 2011 opening ceremony, and can be considered as direct contact with some of the World Cup opening ceremony of the transfer and 201 here is the background image. 2011 World Cup opening ceremony of the images can be downloaded. Download images from the opening ceremony.