সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় শুরু হয় দশম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। ছায়ানটের শিল্পীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার পরপরই মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংগীতের পর এবারের বিশ্বকাপের স্বাগত সংগীত পরিবেশন করেন ইবরার টিপুর নেতৃত্বে বালাম, অর্ণব, মিলা, এলিটা, কনাসহ আরও অনেকে। এরপর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বাহন রিকশায় চড়ে মূল মঞ্চে আসেন বিশ্বকাপের ১৪ অধিনায়ক। এ সময় তাঁরা হাত নেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের অভিবাদন জানান। ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী সনু নিগমের ‘লেটস গো ফর গ্লোরি’ শিরোনামের পরিবেশনা ছিল পরবর্তী আকর্ষণ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আইসিসির সভাপতি শারদ পাওয়ারের স্বাগত বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
স্বাগতিক দেশগুলোর শিল্পীদের পরিবেশনার শুরুতে মঞ্চে আসেন ভারতীয় কলাকুশলীরা। তাঁদের পরিবেশনা ‘ম্যাগনিফিসেন্ট ইন্ডিয়া’য় চমত্কারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি। তাঁদের এই অসাধারণ পরিবেশনার রেশ ফুরাতে না ফুরাতেই মঞ্চে আসেন শ্রীলঙ্কান শিল্পীরা। ‘অ্যামেজিং শ্রীলঙ্কা’ নামের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে তাঁরা দর্শকদের নিয়ে যান স্বপ্নের জগতে। এর পরই আসে বাংলাদেশের পালা। একে একে মঞ্চে আসেন সাবিনা ইয়াসমিন, মমতাজ ও রুনা লায়লা। দেশের সংগীতজগতের প্রধান এই তিন শিল্পী উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করেন সুরের মূর্ছনায়। এরপর দেশবরেণ্য নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নিপার নেতৃত্বে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। নাচের তালে তালে তাঁরা চমত্কারভাবে তুলে ধরেন বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে এরপর মঞ্চে আসেন কানাডার রকশিল্পী ব্রায়ান অ্যাডামস। একে একে গেয়ে শোনান ‘সামার ৬৯’সহ আরও তিনটি গান। সবশেষে বিশ্বকাপের থিম সং ‘দে ঘুমাকে/মার ঘুরিয়ে’ গানটির পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। পুরো সময়ই আতশবাজির ঝলকানি দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখে।
0 comments:
Post a Comment