For Recent News Click

‘ক্রিকেটের বাইবেলে’ তামিম ইকবাল http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-08/news/145206



তামিম ইকবাল: ‘এখন পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন।’


প্রথমে লর্ডস, এরপর ওল্ড ট্রাফোর্ড। গত বছর ইংল্যান্ড সফরে সিরিজের দুই টেস্টেই স্ট্রোক-ঝলমলে সেঞ্চুরি। প্রথমটি ৯৪ বলে, দ্বিতীয়টি ১০০ বলে।
লর্ডসে সেঞ্চুরিতেই লেখা হয়েছিল নতুন ইতিহাস—ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। প্রথমটির মতো দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটিও তামিমের। ইংল্যান্ডে ওই দুই সেঞ্চুরিই তামিম ইকবালকে এনে দিয়েছে আরেকটি ‘প্রথম’-এর গৌরব। উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালম্যানাক-এর বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে স্থান পেয়েছেন এই বাঁঁহাতি ওপেনার।
‘ক্রিকেটের বাইবেল’ হিসেবে পরিচিত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালম্যানাক-এর ১৪৮তম সংস্করণ বাজারে আসবে ১৪ এপ্রিল। ঐতিহ্য অনুযায়ী, এর আগের রাতে লর্ডসের লং রুমে নৈশভোজে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হবে বিখ্যাত সেই হলুদ বই। এত দিন ‘উইজডেন ফাইভ ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার’-এর নামও ঘোষিত হয়ে আসছে সেই রাতে। এবার ব্যতিক্রমীভাবে তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আজ লন্ডনে ঘোষিত হবে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের নাম, যাতে আছেন বাংলাদেশের তামিম ইকবালও।
আরেকটি ব্যতিক্রমও হচ্ছে এবার। ১৯২৬ সালের পর এই প্রথম বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটার নির্বাচনের রীতির ব্যত্যয় ঘটছে। উইজডেন সম্পাদক শিল্ড বেরি পাঁচজনকেই নির্বাচন করেছিলেন, কিন্তু তাঁদের একজন স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায় তাঁকে বাদ দিতে হয়েছে। উইজডেন-এ ওই ক্রিকেটারের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে বেরি বলেছেন, ‘যদি তিনি অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতেন, তা হলে তাঁকে পুনর্বিবেচনা করা যেত। এ কারণেই আমি তাঁর বদলে আর কাউকে বেছে নিইনি। এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে তাঁকেও রাখা যায় না। পুরো ব্যাপারটাই খুব দুঃখজনক।’
উইজডেন নাম না বললেও অনুমান করা কঠিন কিছু নয়। একটু ইঙ্গিত দিলে পাঠকেরও তা বুঝতে সমস্যা হবে না। স্পট ফিক্সিং প্রসঙ্গই বুঝিয়ে দিচ্ছে, ওই ক্রিকেটার পাকিস্তানি। সঙ্গে যোগ করে নিন পরিচয়টাও—তিনি বাঁহাতি ফাস্ট বোলার।
‘ফাইভ ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার’-এর বদলে এবার তাই ‘ফোর ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার’। তামিম ইকবাল ছাড়া বাকি তিনজন—এউইন মরগান, জোনাথন ট্রট ও ক্রিস রিড। মরগানের নির্বাচনে বড় ভূমিকা রেখেছে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে তাঁর অবদান। ট্রট ২০১০ সালে টেস্টে ১৩২৫ রান করেছেন। সাবেক ইংল্যান্ড উইকেটকিপার রিড ২০১০ সালে নটিংহ্যামশায়ারের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তামিমকে নির্বাচনের কারণ হিসেবে শিল্ড বেরি বলেছেন, ইংলিশ মৌসুমের শুরুতে আর কোনো সফরকারী ব্যাটসম্যান কন্ডিশনের ওপর এমন কর্তৃত্ব দেখাতে পারেননি। তামিমের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সেরা ফর্মের ম্যাথু হেইডেন বা ক্রিস গেইলের তুলনা করে তাঁকে নির্বাচন করতে পারাটাকে আনন্দের ব্যাপার বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। উইজডেন-এর নৈশভোজে তামিম ইকবালকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। তামিমও যেতে খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের সঙ্গে তারিখটা মিলে যাওয়ায় আর যাওয়া হচ্ছে না তাঁর।
তামিম ইকবালও সুখবরটা পেয়ে আপ্লুত, ‘গত কিছুদিন সময়টা খুব ভালো যায়নি। বিশ্বকাপে নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। খবরটা পেয়ে তাই খুব ভালো লাগছে। আমি খুব, খুব খুশি। এখন পর্যন্ত এটিই আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন।’
ক্রিকেটীয় যেকোনো অর্জনেই তামিমের মনে পড়ে প্রয়াত বাবাকে। এখানেও ব্যতিক্রম নয়, ‘উনি থাকলে এই পুরস্কারের মর্মটা আরও ভালো করে আমাকে বুঝিয়ে দিতে পারতেন। আব্বু ক্রিকেট ইতিহাসের খুব অনুরাগী ছিলেন। উইজডেন, এমসিসি, লর্ডস—এসব শব্দ উনার মুখেই প্রথম শুনেছি।’
দু-একবার ব্যতিক্রম হলেও উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচনে মূলত আগের ইংলিশ মৌসুমে পারফরম্যান্সই বিবেচনায় নেওয়া হয়। নির্বাচনটা উইজডেন সম্পাদকের একক এখতিয়ার। ১৮৬৪ সাল থেকে প্রতিবছর প্রকাশিত হয়ে আসা উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালম্যানাক বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচন করে আসছে ১৮৮৯ সাল থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্রিকেট বন্ধ ছিল বলে ছয় বছরই (১৯৪১-৪৬) শুধু এর ব্যতিক্রম হয়েছিল। শুরুর দিকে সংখ্যাটা কম-বেশি হলেও ১৯২৭ সাল থেকে পাঁচজনই পেয়ে আসছেন এই স্বীকৃতি। এবারই সেই ঐতিহ্য থেকে সরে এল ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো ব্যক্তিগত পুরস্কার।
তামিম ইকবাল ২০১০ সালে উইজডেন ক্রিকেটার সাময়িকীর চোখে বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগের বছর সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ এটিকেই ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ উইজডেন-এর স্বীকৃতি বলে ভুল করেছিল। সেই ভুল ভাঙাতেই যেন ‘আসল’ পুরস্কারটা জিতলেন তামিম ইকবাল!
News Sours http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-04-08/news/145206

উপভোগের আনন্দই মূল কথা

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট অ্যাডাম গিলক্রিস্ট

তিনটি বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ হিসেবে আমি বলতে পারি, প্রতিটি টুর্নামেন্টেরই নিজস্ব চিত্রনাট্য ও গল্প আছে। টানা তিনটি শিরোপা জয়ের প্রতিটিই আমার স্মরণীয় অর্জন। তবে প্রতিটি জয়েরই পথ ছিল ভিন্ন, প্রতিটি টুর্নামেন্ট আমাদের পরীক্ষা নিয়েছে ভিন্নভাবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে গড়পড়তা মানের চেয়েও বাজে পারফর্ম করে আমরা ১৯৯৯ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজও হয়েছিল ড্র। বছরটা আমাদের ভালো যাচ্ছিল না, ভালো হয়নি বিশ্বকাপের শুরুটাও। আমাদের ঘিরে ছিল মাঠের বাইরের বিতর্কও। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শেষ টেস্টে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বাদ পড়েছিল শেন ওয়ার্ন। এ নিয়ে গণমাধ্যমের তুমুল বিতর্কের মধ্যেই আমরা ইংল্যান্ডে পা রাখলাম। এই সব কিছু সম্ভবত দলকে দিগ্ভ্রান্ত করে ফেলেছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবিষ্কার করলাম, আমরা বাদ পড়ে যাওয়ার দোরগোড়ায়।
কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইলাম। সবার মনোযোগের কেন্দ্রে থাকা শেন হঠাত্ করেই প্রমাণ করতে শুরু করল ও কত বড় চ্যাম্পিয়ন। ওর পারফরম্যান্স এতটাই প্রেরণাদায়ী ছিল যে পুরো দলের চেহারাই বদলে গেল।
সেবার শিরোপা জয়ের আরেক রূপকার ছিল স্টিভ ওয়াহ। সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে ওর সেঞ্চুরিটাই আমাদের টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই এক হয়ে নাটকীয় ও স্মরণীয় জয় আনলাম।
২০০৩ বিশ্বকাপ খেলতে যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলাম, আমাদের দল তখন অনেকটাই স্থিতিশীল। কিন্তু খেলা শুরুর আগেই আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের মধ্যে পড়লাম। ডোপ পরীক্ষায় পজিটিভ হলো শেন ওয়ার্ন। ম্যাচ শুরুর মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে তাঁর মতো বোলারকে হারানোর ধাক্কা সামলে আমরা ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে পেরেছিলাম রিকি পন্টিং ও জন বুকাননের অসাধারণ নেতৃত্বে।
আমার ধারণা, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেই আমরা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সবচেয়ে ভালোভাবে করতে পেরেছিলাম। টুর্নামেন্টটা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাসা। পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল আমাদের। তবে প্রতিটি চ্যালেঞ্জের জবাব দিয়ে আমরা শিরোপা জিতেছিলাম অপরাজিতভাবে। আমি বলব, আমাদের প্রজন্মের মূল অংশটা নিজেদের সামর্থ্যের চূড়ায় ছিল এই বিশ্বকাপেই।
২০০৩ বিশ্বকাপে কঠিন ক্রিকেট খেলেছি, ২০০৭-এ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজত্ব করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচের খানিকটা সময় বাদ দিয়ে কোনো ম্যাচে আমরা সংকটের কাছাকাছিও ছিলাম না।
এই জয়ের প্রতিটিই ছিল বিশেষ কিছু। কারণ, স্রেফ একটি ম্যাচ জয় নয়, এসব ছিল বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের কাছাকাছি আসা আর এক বাঁধনে জড়ানোর উপলক্ষ। এদের অনেকেই হয়তো আগে কাছের বন্ধু ছিল না। আমার ও শেন ওয়ার্নের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। এটা সত্য, আমাদের জীবনদর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। কিন্তু আমার জীবনের স্মরণীয় স্মৃতি হলো শেনের বলে কিপিং করা। ওর সাফল্য আমি দারুণ উপভোগ করেছি, যেমন ও করেছে আমারটা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ও সব সময়ই আমাদের মতের ভিন্নতা বুঝতে পেরেছে এবং মিল খোঁজার চেষ্টা করেছে। একই কথা প্রযোজ্য দলের অন্য সব ক্রিকেটারের জন্যও। দলের আর সবার সঙ্গে খেলে যেমন আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, তেমনি আমি ও শেন এখনো ভালো বন্ধু।
সহ-অধিনায়ক হিসেবে অধিনায়ক ও বাকি দলের মাঝে সেতুবন্ধের কাজটা আমি খুব উপভোগ করতাম। আমার ধারণা স্টিভ, রিকি, শেন ও ম্যাকগ্রার মতো বলিষ্ঠ ও স্বতন্ত্র মানুষগুলো কাছাকাছি আসতে পেরেছিল দলটার সততার কারণে। আমরা জানতাম, সবার মাঝে সমান বন্ধুতা থাকা সম্ভব নয়। তবে একই লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বটা আবার সবাই বুঝতাম।
আমি নিশ্চিত, এই নতুন ছেলেদের মাঝেও রিকি এই চেতনা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। বিশ্বকাপ একটা বিশেষ টুর্নামেন্ট, ঐতিহ্যবাহী কোনো সিরিজ বা ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে আলাদা। এর একটা আলাদা শক্তি ও আলাদা সংস্কৃতি আছে। অবিশ্বাস্য জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে হলে অস্ট্রেলিয়াকে এই শক্তিটাকে আঁকড়ে ধরতে হবে এবং উপভোগ করতে হবে। প্রস্তুতির সময়টা তাদের সাহায্য করবে একটা দল হিসেবে গড়ে উঠতে। টুর্নামেন্টটাকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নেওয়া এবং একবার বেশি দূর না ভাবাটা জরুরি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ শুরু করেছিলাম আমরা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার মানসিকতা নিয়ে। বিশ্বকাপে সফল হওয়ার যদি কোনো চাবিকাঠি থাকে, তা হলো এটি উপভোগ করা এবং বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানসিকতা ধরে রাখা।

কিউইদের চমকে দিতে চায় কেনিয়া

আজ ম্যাচ শুরুর আগে জিমি কামান্ডে এই দাবি করতে পারেন, ‘নিউজিল্যান্ড? হাহ্। ওদের হারাতে তো আমাদের মাঠেই নামতে হয় না!’
দাবিটা একেবারেই অমূলক নয়। নিউজিল্যান্ডকে একবার মাঠে না নেমেই হারিয়ে দিয়েছিল কেনিয়া!
নিউজিল্যান্ড-কেনিয়া এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচে ‘মুখোমুখি’ হয়েছে। গত দুই বিশ্বকাপে। ২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়াকে ১৪৮ রানে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ২০০৩ বিশ্বকাপে কেনিয়া নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল একটি বলও খরচ না করে! আসলে নিরাপত্তার অজুহাতে সেবার কেনিয়ায় গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি নিউজিল্যান্ড। ওয়াকওভার পেয়ে গিয়েছিল কেনিয়া।
সে যা-ই হোক, বুক ফুলিয়ে কেনিয়া বলতেই পারে, মুখোমুখি লড়াইয়ে তো সমতাই আছে! সমতা আরেক জায়গায়। দুই অধিনায়কের সাম্প্রতিক মন্তব্যে।
ড্যানিয়েল ভেট্টোরি: ‘আমরা জানি, সম্প্রতি আমাদের ফর্ম খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। কিন্তু এই বিশ্বকাপে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতেই খেলব।’
জিমি কামান্ডে: ‘গত এক বছরে আমাদের দলে ধারাবাহিকতার অভাব আছে। কিন্তু বিশ্বকাপ আমাদের প্রমাণের মঞ্চ।’
নিউজিল্যান্ড, কেনিয়া দুই দলেরই সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো নয়। নিউজিল্যান্ড যেমন গত ২০ ওয়ানডের মাত্র চারটি জিতেছে। গত তিনটি ওয়ানডে সিরিজেই নাস্তানাবুদ হয়েছে। দুবার হয়েছে ধবলধোলাই (বাংলাদেশের কাছে ৪-০, ভারতের কাছে ৫-০)। সর্বশেষ নিজ দেশে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-২-এ সিরিজ পরাজয়।
গত বিশ্বকাপের ঠিক উল্টো অবস্থান থেকে শুরু করছে নিউজিল্যান্ড। সেবার বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করে আত্মবিশ্বাসে জ্বালানি ভরে বিশ্বকাপে এসেছিল কিউইরা। এবার একের পর এক সিরিজে হেরে তাদের আত্মবিশ্বাসের পর্দাটা ফুটো হয়ে গেছে।
ফলে আজ চেন্নাইয়ে কেনিয়া চমকে দিতে চাইবে নিউজিল্যান্ডকে। কামান্ডে এই বলে সতর্ক করছেন, ‘কোনো দলকেই খাটো করে দেখাটা হবে ভুল। বিশেষ করে র্যাঙ্কিংয়ের নিচু সারির দলগুলোকে। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বকাপে অঘটন ঘটানোর সামর্থ্য আমাদের আছে।’
নিউজিল্যান্ড সেই ভুল করছে না। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর মার্টিন গাপটিল দুজনই সাংবাদিকদের বলেছেন, কেনিয়াকে তাঁরা দেখছেন শ্রদ্ধার চোখেই।
দেখা যাক, অঘটন-বিশেষজ্ঞ কেনিয়া কোনো চমক দিতে পারে কিনা!

তবুও অনেক প্রাপ্তি

হাবিবুল বাশার হাবিবুল বাশার
করে ফেললাম! সাকিব টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়ার পর এটাই ছিল আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া। শুধু আমি নই, কাল স্টেডিয়ামের ক্যাপ্টেনস বক্সে আমার পাশে সাবেক অধিনায়কেরা যাঁরা ছিলেন—ফারুক ভাই, লিপু ভাই, নান্নু ভাই—সবাই দেখলাম মাথা নাড়ছেন।
আমি এখনো বলব, টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভালো হয়নি। কাল মিরপুরে পুরো ম্যাচ দেখেছি। মাঠে নামিনি। তবে আমার অভিজ্ঞতা বলছিল, খুব বেশি শিশির পড়েনি। জানি না বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট পরশু রাত নয়টা পর্যন্ত মাঠে ছিল কি না। হয়তো ছিল। তখনই হয়তো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, টস জিতলে ফিল্ডিং।
‘টস জিতলে ব্যাটিং নাও’ এটা তো ক্রিকেটের শাশ্বত এক বাণী। দিবারাত্রির ম্যাচে তো আরও বেশি প্রযোজ্য। দিনের ম্যাচে সকালের উইকেটে আর্দ্রতা থাকে। আর এখানে ম্যাচ শুরু দুপুরে। তেমন আর্দ্রতা থাকে না। দিবারাত্রির ম্যাচে ব্যাটিং করার সুবর্ণ সময় দুপুর থেকে সন্ধ্যা। কাল খেয়াল করে দেখবেন, ভারত ওই সময় কী সাবলীল ব্যাটিং করেছে। টস জিতেও আমরা ব্যাটিং করার সুযোগটা নিলাম না।
সিমিং উইকেটেরও অভাব বোধ করেছি। ভারতের বিপক্ষে আমরা যে দুটো ম্যাচ জিতেছি, দুটোই ছিল সিমিং উইকেট। ওদের বিপক্ষে মরা অথবা স্পিন-সহায়ক উইকেট বানিয়ে লাভ নেই। ওরা স্পিনের বিপক্ষে সেরা দল। ওদের পেস দিয়েই ঘায়েল করতে হয়।
সে ক্ষেত্রে একটা প্রান্তে মাশরাফি থাকলে সুবিধাটা আমরা পেতাম। অন্য প্রান্তে শফিউল বা রুবেল—যে থাকত, নির্ভার থাকতে পারত। ভারতকে প্রথমে ধাক্কা দিতে পারিনি বলেই ওদের ওই ৩৭০ রান।
প্রথম পাওয়ার প্লে আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই ১০ ওভারে প্রতিপক্ষ ৯০ রান তুলে ফেললে ওই গতিটাই তো ২৬০-৭০ রান এনে দেয়। আমাদের প্রথম পাওয়ার প্লেতে রান কম দেওয়ার দিকে আরও মনোযোগ দিতে হবে। পেসাররা রান দিয়ে দিলে পরে স্পিনারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যায়, কাল যেটি হয়েছে।
৩৭০ রান করার পরই ম্যাচটা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এটা হয়তো বুঝতে পেরেছেন, আমার কলমে একটু যেন আক্ষেপের সুর। আক্ষেপ, কারণ ভারত বড় রান করেও নির্ভার থাকতে পারেনি। আমরা ওদের চাপেই ফেলে দিয়েছিলাম। সেটি ইমরুলের দারুণ শুরুর কারণে। তামিম তো আমার দেখা সবচেয়ে পরিণত ব্যাটিং করেছে এদিন। আসলে এত বড় রান তাড়া করে জেতার অভিজ্ঞতা না থাকাও আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।
তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা শুরুতেই খেলে ফেললাম। এ থেকে অনেক আত্মবিশ্বাসও পাওয়া গেছে। রানরেটের হিসাব পরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে পরাজয়ের ব্যবধান যথাসম্ভব কমাতে পারায় ভালোই হয়েছে। বিশ্বকাপে আমাদের সর্বোচ্চ স্কোর করেছি। এই আত্মবিশ্বাস পরের ম্যাচে কাজে দেবে। ব্যাটিং দারুণ হয়েছে, ফিল্ডিংও। ফলে সব মিলে আমাদের জন্য এটি অনেক প্রাপ্তির ম্যাচ। আর বিশ্বকাপও তো মাত্রই শুরু।

বিশ্বকাপে দলীয় সর্বোচ্চ রান

৫০, ১০০, ১৫০...কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এভাবে শেবাগের ব্যাট ওপরে উঠতে দেখেছে তিনবার। এটা সে� ৫০, ১০০, ১৫০...কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এভাবে শেবাগের ব্যাট ওপরে উঠতে দেখেছে তিনবার। এটা সেঞ্চুরির পর
প্রথম আলো
৪১৩/৫ ভারত-বারমুডা পোর্ট অব স্পেন ২০০৭
৩৯৮/৫ শ্রীলঙ্কা-কেনিয়া ক্যান্ডি ১৯৯৬
৩৭৭/৬ অস্ট্রেলিয়া-দ. আফ্রিকা সেন্ট কিটস ২০০৭
৩৭৩/৬ ভারত- শ্রীলঙ্কা টন্টন ১৯৯৯
৩৭০/৪ ভারত-বাংলাদেশ মিরপুর ২০১১


সেরা ৫ ইনিংস
১৮৮* গ্যারি কারস্টেন দ. আফ্রিকা-আ. আমিরাত রাওয়ালপিন্ডি ১৯৯৬
১৮৩ সৌরভ গাঙ্গুলী ভারত-শ্রীলঙ্কা টন্টন ১৯৯৯
১৮১ ভিভ রিচার্ডস ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা করাচি ১৯৮৭
১৭৫* কপিল দেব ভারত-জিম্বাবুয়ে টানব্রিজ ওয়েলস ১৯৮৩
১৭৫ বীরেন্দর শেবাগ ভারত-বাংলাদেশ মিরপুর ২০১১

শেবাগের ব্যাটে রং হারাল উত্সব

টেন্ডুলকার রানআউট, বড় একটি কাঁটা সরে যাওয়ায় সাকিব-রাজ্জাকদের আনন্দ। যা পরে শেবাগ-কোহলির রানযজ্ঞ টেন্ডুলকার রানআউট, বড় একটি কাঁটা সরে যাওয়ায় সাকিব-রাজ্জাকদের আনন্দ। যা পরে শেবাগ-কোহলির রানযজ্ঞে
শামসুল হক
রংচঙে দিনটা সন্ধ্যার আগেই খেই হারাল। উত্সবের ঢেউ জোর হারিয়ে ফেলল যেন। ফ্লাডলাইটের ঝলমলে আলোর নিচে দেখা গেল নিস্তরঙ্গ জনসমুদ্র। সারা দিনের এত আয়োজন, এত আশা মাত্র তিন ঘণ্টাতেই বিলীন! শেবাগ-ঝড়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের বিশ্বকাপটাকে প্রথম দিনেই করে দিল বিবর্ণ, ফ্যাকাসে।
ভারতের মতো ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে টসে জিতেও কেন সাকিব আল হাসান আগে ফিল্ডিং নিলেন, সেটা একটা রহস্য। গ্যালারির দর্শক থেকে শুরু করে প্রশ্নটা ভারতীয় মিডিয়ার মুখেও। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে সাকিব নিশ্চয়ই এর একটা ব্যাখ্যা দেবেন। ব্যাখ্যাটা একটু অনুমানও করা যায়—রাতে শিশির থাকবে, আর শিশির ভেজা বল বাংলাদেশি স্পিনারদের পুরো জাদুটা দেখাতে দেবে না। কাজেই আগে বোলিং!
সিদ্ধান্তটা যে কারণেই হোক, আগে বল করাটা যে বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী হলো সেটা শফিউল ইসলামের প্রথম বলেই কভার দিয়ে বাউন্ডারি মেরে বুঝিয়ে দিলেন বীরেন্দর শেবাগ। এরপর তো এটা তাঁরই ম্যাচ, বাংলাদেশি বোলারদের নির্যাতিত হওয়ার প্রামাণ্যচিত্রও।
দুই পেসার শফিউল আর রুবেল হোসেনের সঙ্গে রাজ্জাক, নাঈম, মাহমুদউল্লাহ এবং অধিনায়কসহ চার স্পিনার—শেবাগ-কোহলিদের সামনে সাকিবের সব অস্ত্রই ভোঁতা ঠেকল। কোনো বোলারের ওপরই একটানা বেশিক্ষণ আস্থা রাখা গেল না। সব বোলার মিলিয়ে ইনিংসে ১ ওভারের স্পেলই হয়েছে ৬টা! শফিউল ২ ওভারের প্রথম স্পেলে দিলেন ২০ রান। প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিতে ভালো বল করলেও শেবাগের কাছে বেশি মার খেলেন তিনিই। শফিউলের করা ৭ ওভার থেকে মাত্র ১৭টি বল খেলেই ৩৩ রান করেছেন শেবাগ। শুরুতে কিছু শর্ট বল করলেও সে তুলনায় ২৯ বলে ২২ রান দিয়ে রুবেলই কিছুটা কর্তৃত্ব দেখাতে পেরেছেন শেবাগের ওপর। প্রথম স্পেলটাও খারাপ না, ৫-০-২৮-০।
দুই পেসার মিলে ৪ ওভারেই দিলেন ৩৬ রান। সাকিব ভাবলেন স্পিন দিয়ে যদি কিছু করা যায়! সেই পরিকল্পনাও ব্যর্থ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়ে ৪ ওভারের প্রথম স্পেলে ২০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য রাজ্জাক। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারের অবশ্য সুখকর অভিজ্ঞতা নেইও। কাল উইকেটই পাননি, এর আগে ৮ ম্যাচ খেলেও পেয়েছেন মাত্র ৬ উইকেট। তাও সর্বশেষ উইকেটটি ২০০৮-এর জুনে, ঢাকায়। কালকেরটিসহ ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ চার ম্যাচেই তাঁর কোনো উইকেট নেই।
বাংলাদেশের স্পিন দিয়ে নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়েকে কাবু করা গেলেও ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সামনে এ যেন ভোঁতা অস্ত্র। বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে ৩০ রান দিয়ে কিছুটা সফল, কিন্তু দুই স্পেলে করা পরের চার ওভারেই দিলেন ৩১ রান! এর মধ্যে শেবাগের উইকেটটা আছে, কিন্তু ইনিংসের মাত্র ১৫ বল বাকি থাকতে ১৭৫ রান করে ফেলা একজন ব্যাটসম্যানকে আউট করলেই কী আর না করলেই কী!
সাকিব-রাজ্জাকই যেখানে ফেল, নাঈম-মাহমুদউল্লাহ আর কী করবেন! প্রথমজন ৪ ওভারের প্রথম স্পেলে দিলেন ২৭ আর পরের ৫ ওভারের স্পেলে ২৯ রান। গৌতম গম্ভীরের উইকেটটা ৭ ওভারে ৪৯ রান দেওয়া মাহমুদউল্লাহর জন্য সান্ত্বনা হতে পারে।
টসে হেরেও ব্যাটিং পেয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা মাথার ওপর খোলা আকাশই পেয়ে গিয়েছিলেন। রানের শৃঙ্গটাকে যতটা সম্ভব ওপরে তুলতে শেবাগ-কোহলিদের সিঁড়ি হলেন বাংলাদেশি বোলাররা। প্রায় ২৬ হাজার দর্শকভর্তি গ্যালারি তার পরও লাল-সবুজকে জাগাতে সমর্থনের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। নেচে উঠেছে একটা ভালো বল বা একটু ভালো ফিল্ডিংয়েও। কিন্তু শেবাগ কি আর ওদিকে তাকান! স্বাগতিক দর্শকদের চাপ তাঁর গায়ে চিমটিটাও কাটতে পারল কিনা সন্দেহ। উইকেটে যতক্ষণ ছিলেন, ভারতীয় স্কোরবোর্ডটাকে মন্থর হতে দেননি কখনোই।
২০০৭ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তির আশায় ভারত ম্যাচটা নিয়ে এবার কল্পনার ফানুস কম ওড়ানো হয়নি। শেবাগ-কোহলির ব্যাট শুধু সেই ফানুসটাকেই ফুটো করে দেয়নি, বাংলাদেশের বিশ্বকাপটাকেও যেন নাড়িয়ে দিল। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ জমবে কি জমবে না, সেটারও যে নিক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ!

Beats Bangladesh by 87 runs in high-scoring play

India is having a high score of 87 works, Bangladesh, who won Saturday's World Cup cricket tournament  welcomed the rejection of the first sought by Dhaka. Tigers game, host, lost his competition with other teams, recorded 283 points, rose to an incredible height, I think that observation.

Recover Bat draw some Indians in the first place, a great favorite in the 2011 Cricket World Cup 4370 total was an excellent result. Two batters and won century. Sehwag batting period other young warriors standing Supueso Kohli ~ € Catapult, its age and the World Cup with W, one-day debut an impressive 140-ball 14 th century and made the highest individual score with 175 runs great. 100 He had 83 balls. Tiger, Toss home crowd so surprised - after winning a defensive decision to opt for, the Bangladesh bowlers, India have grown up to provide excellent performance. Bangladesh scored a total of 283 competitive score. Tamim Iqbal, deputy leader of the home team, 70 team the highest score was 86 practice balls. Shakib Aruhassan captain, before - 50 in 55 balls to make sure the best. Overall team score, India, ICC, is the holder of a break in the second place, and Georgetown University. Points: Sehwag - 175 (140), Sachin - 28 (29), Gambir - 39 (39), Kohli - 100 * (83), Pathan - 8 (10) Extras: 20 Total: 370. Bowling: Safiul - 7-0-69-1, Rubel - 10-0 - 60-0, Razzaq - 9 - 0-74 to 0, Shakib - 10-0 - 61-1, Naeem - 7 - 0 - 54-0 Mahmudullah - 7-0 - 49-1. Points: Tamim - 70 (86), Imrul - 34 (29), Junaid - 37 (52), Shakib - 55 (50), Mushfiqur - 25 (30), Mohammad - Mahmudullah 28 (28) - 6 (6) , Naeem Islam - 2 (8), Razzaq - 1 (5), Shafiul - 0 (1), Rubel - 1 * (6): 24 runs. India bowling: Sreesanth - 5 - 0 - 53-0, Zaheer Khan - 10-0 - 40-2, Patel - 10-0 - 48-4, Harbhajan - 10-0 - 41-1, Pathan - 8-0 - 49-1. 42-0 - 7-0 - Prince